দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো খানে ঘটে খুনের ঘ্টনা। শত শত খুনের ঘটনা থেকে তেমনি এক ব্যক্তিক্রমী খুনের গল্প উঠে এসেছে চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা ও ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘ব্ল্যাক ওয়ার’খ্যাত নির্মাতা সানী সানোয়ারের নতুন চলচ্চিত্র ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ সিনেমায়।

এই সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পূজা ক্রুজ, অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন আজমেরি বাঁধন। তাদের অভিনীত ‘এশা মার্ডার’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আসন্ন ঈদুল আজহায়।
আরও অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুমিত সেনগুপ্ত, শরীফ সিরাজ, শতাব্দী ওয়াদুদ, নিবির আদনান নাহিদ, এজাজ আহমেদ, মাজনুন মিজান, আনিসুল হক বরুণ, সুষমা সরকার ও দীপু ঈমাম।
২০০৯ সালে আজিমপুরে ঘটে যাওয়া একটি খুনের ঘটনা নিয়ে ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে। পরিচালক সানী সানোয়ার পূর্বেই বলেছেন, কেসটি আমি সমাধানও করেছিলাম, তবে বেগ পেতে হয়েছিল। কর্ম জীবনে বহু খুন তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করলেও এই ঘটনা বিশেষভাবে নাড়া দেয়।
২০১৮ হতে ২০২৩ ৫ বছর সময় নিয়ে চিত্রনাট্য প্রস্তুত করেছেন নির্মাতা। একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা চরিত্রে দেখা যাবে বাঁধনকে।
এশা নামে এই ছবিতে অভিনয় করবেন পূজা ক্রুজ, যিনি ২০১৮ সালে ‘চ্যানেল আই লাক্স সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন। পরে অভিনয় শিখতে থিয়েটারে যুক্ত হন।
বর্তমানে সিনেমাটির ডাবিং চলছে। আসন্ন ঈদুল আযহায় ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। সিনেমা সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন যে, এই সিনেমাটি পুরোপুরি বাণিজ্যিক ধাঁচের একটি সিনেমা। খুনের রহস্যের মধ্যেও ভরপুর বিনোদন এবং রয়েছে একাধিক গান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org