দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের শিল্পকলা-ভিত্তিক অনুদান ‘কানেকশনস থ্রু কালচার (সিটিসি)’ গ্রান্টসের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশসহ ১৯টি অংশীদার দেশের শিল্পী ও সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান শিল্পকলা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সৃজনশীল এবং সাংস্কৃতিক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে পারবেন।

আগামী ২৩ জুন রাত আটটা (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত এই অনুদানের জন্য আবেদন করা যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
‘কানেকশনস থ্রু কালচার’ প্রকল্পটির মাধ্যমে শিল্প এবং সংস্কৃতিতে উদ্ভাবনী ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগের জন্য ১০,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত অনুদান প্রদান করা হবে। এর মধ্যে রেসিডেন্সি, পারফরম্যান্স, পলিসি ল্যাব, প্রদর্শনী, গবেষণা ও উন্নয়নের পাশাপাশি আরও অনেক উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা অর্থবহ সংলাপ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব জোরদার করতে সহায়তা করবে। এই অনুদান স্থাপত্য, নকশা, ফ্যাশন ও কারুশিল্প, থিয়েটার, নৃত্য এবং সার্কাস, সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও সৃজনশীল প্রযুক্তি, ভিজ্যুয়াল আর্টস, সঙ্গীত, অথবা মাল্টিডিসিপ্লিনারি উদ্যোগ সহ সকল শাখা হতে আবেদন গ্রহণের উপযুক্ত। প্রকল্পের মাধ্যম ডিজিটাল, স্বশরীরে অংশগ্রহণ, কিংবা হাইব্রিড হতে পারে। প্রকল্পের সময়কাল অক্টোবর ২০২৫ হতে ৩১ অক্টোবর ২০২৬ পর্যন্ত। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত তথ্য ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
গত বছর এই অনুদানের মাধ্যমে ৪টি বাংলাদেশী প্রকল্প সহ মোট ৮৪টি বৈশ্বিক প্রকল্প সহায়তা পেয়েছিল। বিগত বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এই বছরও নতুন প্রকল্পের আহবান জানানো হচ্ছে। এবারের পর্বে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০টি যৌথ উদ্যোগকে অনুদান প্রদান করা হবে, যা যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশসহ ১৯টি অংশগ্রহণকারী দেশের যৌথ সৃজনশীল প্রকল্পকে অর্থায়ন করবে।
এই উদ্যোগ নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল সাউথ এশিয়ার রিজিয়নাল আর্টস ডিরেক্টর জিল রিচেনস বলেছেন, “কানেকশনস থ্রু কালচার শুধুমাত্র একটি গ্রান্ট প্রোগ্রামই নয়, এই উদ্যোগ সৃজনশীল অংশীদারিত্বে পরিবর্তন আনতে একটি প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে। যেসব প্রকল্প শিল্পকলা ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য এবং উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করবে এবং সংস্কৃতি ও সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে, আমরা সেই সব প্রকল্প বাস্তবায়নে পাশে থাকতে চাই।”
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেন, “বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত কানেকশনস থ্রু কালচার গ্রান্টের সাফল্যের ভিত্তিতে আমরা এবারের পর্বে শিল্পী এবং শিল্পকলা নিয়ে যারা কাজ করছে, তাদের এই উদ্যোগে অংশ নিতে আহ্বান জানাই; আমরা আশা করি তারা নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে এ বছরের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হবেন। এই আয়োজনের মাধ্যমে শিল্পী এবং শিল্পকলা নিয়ে কাজ করে যে সংগঠনগুলো তাদের ক্ষমতায়নে কাজ করতে চাই, যেনো একসঙ্গে আমরা নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে পারি। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সৃজনশীল কাজ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে ভৌগোলিক সীমারেখা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে অর্থবহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে, যা সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রাখছে। সিটিসি গ্রান্টস প্রোগামও একই লক্ষ্যে কাজ করবে।”
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশসহ আরও যেসকল দেশ এই উদ্যোগে অংশ নিচ্ছেঃ অস্ট্রেলিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, চীনের মূল ভূখণ্ড, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান এবং ভিয়েতনাম।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org