দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলমান আক্রমণাত্বক অভিযান শেষে ইসরায়েলি বাহিনী “পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গত ডিসেম্বর মাসের পর প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন বার্তা দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
নেতানিয়াহু বলেছেন, এই অভিযানে হামাস পরাজিত হবে ও গাজার পুরো ভূখণ্ড ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করবে। গত শনিবার হতে শুরু হওয়া এই অভিযানকে চূড়ান্ত ধাপ হিসেবে উল্লেখ করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন যে, আমাদের বাহিনী শক্তিশালী আঘাত হানছে, এই হামলা গাজায় বিদ্যমান হামাসের শক্ত ঘাঁটির বিরুদ্ধে আরও অনেক জোরালো হবে। এই অভিযানের উদ্দেশ্যই হলো উপত্যকায় যুদ্ধ সম্পন্ন করা।
এ ছাড়াও গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সাম্প্রতিক বিমান হামলায় হামাসের সামরিক নেতা ও সাবেক হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মোহাম্মেদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এদিন নেতানিয়াহু আরও বলেন যে, যদি কোনও ধরনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির চুক্তি সুযোগ থাকে তাহলে ইসরায়েল তাতে আলোচনাও করবে।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে ইসরায়েলি নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল জিম্মিকেই মুক্তি দিতে হবে, হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে, তাদের নেতৃত্বের নির্বাসন ও গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা হতে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাস্তবায়নও করতে হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org