দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ আসলে নতুন নতুন নাটকের জন্য মুখিয়ে থাকেন দর্শকরা। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে অনলাইন মাধ্যমগুলোতে অনেক নাটক-মুভি মুক্তি পায়। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। তৌসিফ-তটিনী ঈদের বিশেষ নাটক ‘মন মঞ্জিল’।

নাটকটির কাহিনী এমন: নাটকের মধ্যে ছেলেটার নাম সূর্য, মেয়েটার নাম তারা। এক অনাথ ছেলে সূর্য। বন্দরের অপরাধ জগতে বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠে সে। একদিন আহত হয়ে হাসপাতালে গেলে- তার সঙ্গে দেখা হয় তারা নামের এক মেয়ের। তারা একজন সাংবাদিক এবং নার্স। মেয়েটি সূর্যের জীবনে নতুন এক আলো নিয়ে আসে।
এমনই এক প্রেমময় গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ঈদের এই বিশেষ নাটক ‘মন মঞ্জিল’। সিএমভি’র ব্যানারে নাটকটির চিত্রনাট্য এবং পরিচালনা করেছেন হাসিব হোসাইন রাখি।
এতে সূর্য চরিত্রে তৌসিফ মাহবুব ও তারা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তটিনী। বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, ইমেল হক, সুমন পাটওয়ারী প্রমুখ।
‘মন মঞ্জিল’ নাটক সম্পর্কে নির্মাতা হাসিব হোসাইন রাখি বলেছেন, ‘মনে করা হয় যে, যখন একটি সত্যিকারের হৃদয় ভেঙে যায়, তখন দেবতারাও যেনো কাঁদে। তাদের অশ্রু বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে পৃথিবীতে। এই গল্পের পর্দা খুলতে দেখা যাবে, বৃষ্টি এমনভাবে ঝরছে যেনো পুরো পৃথিবী শোকাহত। ভিজে একেবারে একাকার আমাদের গল্পের প্রাণ সূর্য। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করছে ছোট্ট ঘর হতে। পিচ্ছিল ভেজা কংক্রিটে তার পা রীতিমতো রক্তাক্ত! তবে কী ছিল সূর্যর অপরাধ? কেনো এই রক্তপাত? জবাব পাওয়া যাবে এই ঈদে, আমাদের এই অন্যপ্রেমের গল্পে।’
সংবাদ মাধ্যমকে প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানিয়েছেন, বরাবরের মতো এবারের ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে থাকছে প্রায় এক ডজন বিশেষ নির্মাণ। ‘মন মঞ্জিল’সহ সবগুলো নাটক এবং টেলিছবিগুলো উন্মুক্ত হবে ঈদের দিন হতে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org