দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘কিসমত বিষয়টি আসলেই অলৌকিক! মানব জীবনের প্রায় সবটাই নিয়ন্ত্রণ করে এই কিসমত। যেমনটি করছে আমাদের এই গল্পের একজোড়া মানব-মানবীর জীবনও। তারা কেওই জানেনা শেষ পর্যন্ত তাদের কিসমতে কী রয়েছে…।’

ঈদের বিশেষ নাটক ‘কিসমত’ সম্পর্কে এমনটিই মন্তব্য করেছেন এর চিত্রনাট্যকার এবং নির্মাতা মুহাম্মাদ মিফতাহ আনান। যেখানে নির্মাতা জুটি হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন সময়ের দুই তারকা ইয়াশ রোহান এবং তানজিন তিশাকে।
সিএমভি’র ব্যানারে সদ্য শুটিং শেষ হওয়া ‘কিসমত’-এর গল্প বেশ ব্যতিক্রম। যেখানে দেখা যেতে পারে, ফাহাদ নামে কথা কম বলা এক নম্র-ভদ্র চরিত্র। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান। এই গল্পে যিনি চরিত্রবান একজন সুদর্শন ছেলে, যার দুনিয়া বাসা-অফিস ও লাইব্রেরিতেই আবদ্ধ।
বিপরীতে সায়রা নামে চরিত্রটি ভার্সিটি লাইফে উড়াধুরাভাবে কাটিয়ে ডজনের ওপর প্রেম করেও আজীবন সঙ্গী হবার মতো কাওকেই খুঁজে পাচ্ছেন না। এই চরিত্রটিতে দেখা যাবে তানজিন তিশাকে।
এটির নির্মাতা মুহাম্মাদ মিফতাহ আনান জানিয়েছেন, দুই মেরুর এই দু’জন মানুষের কিসমতে কী রয়েছে, কেমন করে তারা কাছে আসে বা দূরে সরে যায়, সেই গল্পটিই বলার চেষ্টা করেছেন তিনি।
প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানিয়েছেন, ‘কিসমত’সহ এই ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে উন্মুক্ত হবে অন্তত এক ডজন বিশেষ নির্মাণ। যা চাঁদরাত থেকে উন্মুক্ত হতে থাকবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org