দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে নিজেদের অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের জন্য দারুণ সব অফার নিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। বাংলালিংকের বিশেষ এসব অফার অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের ঈদকে করে তুলবে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময়, উপভোগ্য এবং আনন্দের।

কোরবানি এবং অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতির সময়ে কেনাকাটাকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলতে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ডগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে বাংলালিংক। সিঙ্গার, ইলেকট্রোমার্ট, বাটারফ্লাই, ওয়ালটন প্লাজা, যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড এবং এম.কে. ইলেকট্রনিকসের মত জনপ্রিয় সব ব্র্যান্ড থেকে ফ্রিজ এবং টেলিভিশনের মত প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক পণ্য কেনায় অরেঞ্জ ক্লাবের মেম্বাররা এখন উপভোগ করবেন সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। সীমিত সময়ের জন্য দেয়া অফারগুলো এক্সক্লুসিভ ডিসকাউন্ট কোডের মাধ্যমে উপভোগ করা যাবে, যা ঈদের কেনাকাটাকে করবে দুশ্চিন্তামুক্ত।
অরেঞ্জ ক্লাবের মেম্বাররা যেনো ঝামেলামুক্ত হয়ে কোরবানির প্রস্তুতি নিতে পারেন, তাই বিভিন্ন অ্যাগ্রো ব্র্যান্ডের সাথেও অংশীদারিত্ব করেছে বাংলালিংক। এর ফলে, এসব ব্র্যান্ডের থেকে সেবা গ্রহণে অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বাররা পাবেন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। প্রয়াস অ্যাগ্রো ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বগুড়া ও জামালপুরে দিবে বিনামূল্যে পশু ডেলিভারি, পশুখাদ্য ও ছাড়কৃত পশু কোরবানি সেবা। আর ঢাকায় যারা শুদ্ধ খামার থেকে পশু কিনবেন, তারা উপভোগ করবেন ফ্রি হোম ডেলিভারি, বিনামূল্যে পশুখাদ্য এবং অন্যান্য বিশেষ সুবিধা। এ ছাড়াও, অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের জন্য থাকছে সহজ শর্তে পেমেন্ট সুবিধা, হোম ডেলিভারি এবং অতিরিক্ত বিভিন্ন ঈদ অফার।
বিষয়টি নিয়ে বাংলালিংকের ডিরেক্টর অব মার্কেটিং অপারেশনস মেহেদী আল আমীন বলেন, “ঈদুল আযহা আত্মত্যাগ, একতা এবং উদারতার বার্তা নিয়ে আসে। অরেঞ্জ ক্লাবের মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের ঈদের প্রস্তুতি আরো স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করে তুলতে চাই, যেন তারা তাদের প্রিয়জনদের সাথে আনন্দময় সময় কাটাতে পারেন। বাসায় কোরবানির পশু পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে গ্রাহকরা যেনো বাসাকে নতুন করে তুলতে পারেন, সেজন্য আমরা এই চমৎকার উদ্যোগ নিয়েছি। এই উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের বিশ্বস্ত গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং সুবিধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করেছি।”
অর্থবহ অংশীদারিত্ব ও সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জীবনকে আরও সহজ এবং উপভোগ্য করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলালিংক। এর মাধ্যমে ডিজিটাল অপারেটরটি গ্রাহক সন্তষ্টিতে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org