দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হৃতিক রোশনের ব্লকবাস্টার হিট মুভি ‘ওয়ার’ ইতিমধ্যেই মুক্তির ৬ বছর পেরিয়ে গেছে। আসছে এর বহু প্রতীক্ষিত সিক্যুয়েল, যেখানে হৃতিকের সঙ্গে এবার জুটি বেঁধেছেন দক্ষিণের সুপারস্টার জুনিয়র এনটিআর।

ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আগামী ১৪ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘ওয়ার টু’। মুক্তির পূর্বেই মুভিটি গড়ে ফেলেছে এক অবিশ্বাস্য রেকর্ড, যা এর আগে কোনো ভারতীয় সিনেমা করতে পারেনি।
২০০ কোটি টাকা বাজেটের এই মুভিটি নিয়ে দর্শক এবং সমালোচকদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা বিদ্যমান। ইতিমধ্যেই জানা গেছে, ‘ওয়ার টু’ বিশ্বব্যাপী মোট ৭ হাজার ৫০০টি স্ক্রিনে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এতো বড় পরিসরে বিশ্বজুড়ে কোনো সিনেমা মুক্তি পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। যশরাজ ফিল্মসের এই হাই-অকটেন অ্যাকশন থ্রিলারটি বক্স অফিসে ঝড় তুলতে প্রস্তুত, এই রেকর্ডই তার ইঙ্গিত বহন করে।
হৃতিক রোশন বছরে খুব কম সিনেমা করলেও তার প্রতিটি সিনেমাই ভক্তদের কাছে বিশেষ। ২০২৫ সালেও তিনি ভক্তদের জন্য দারুণ কিছু উপহার দিতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে, ‘ওয়ার টু’-এর মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হতে যাচ্ছে জুনিয়র এনটিআরের, যা ছবিটিকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলছে।
উল্লেখ্য, অয়ন মুখার্জি পরিচালিত ‘ওয়ার টু’ থেকে প্রত্যাশাও রয়েছে অনেক। ইতিপূর্বে অয়ন বহু সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ‘ওয়ার’ ছবিটি ভারতে ৩০০ কোটি ও বিদেশে ১৭৫ কোটি টাকা আয় করে মোট ৪৭৫ কোটি টাকা আয় করেছিল।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org