দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন হানিয়া আমির। ‘মেরে হামসাফার’, ‘ফেরি টেল’, ‘দিলরুবা’, ‘আন্না’, ‘কাভি মে কাভি তুম’ এবং ‘মুক পেয়ার হুয়া থা’-এর মতো আলোচিত নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জয় করে নিয়েছেন।

এই দর্শক থেকে শুরু করে ভক্ত-অনুরাগী সেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন হানিয়া আমির। এবার বাংলাদেশি ভক্ত-অনুরাগীদের সুখবর দিয়েছেন তিনি।
এক ভিডিও বার্তায় হানিয়া জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো তিনি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে আসবেন। হানিয়া বলেছেন, ‘হাই বাংলাদেশ, আমি হানিয়া বলছি, আমি ঢাকায় আসছি, সবার সঙ্গেই দেখা হবে।’
একটি বহুজাতিক কোম্পানির আমন্ত্রণে তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে অংশ নেবেন বেশ কিছু অনুষ্ঠানে। সংবাদ মাধ্যমকে আয়োজকরা জানিয়েছেন যে, পাকিস্তানে কোম্পানিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন হানিয়া। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি উন্মোচন করেছে নতুন ‘ব্ল্যাক শাইন ফর্মুলা’। এর প্রচারণার অংশ হিসেবেই তার এই সফর।
১৯৯৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করা হানিয়া আমির। অল্প সময়েই নাটক, চলচ্চিত্র ও ওয়েব কনটেন্টে অভিনয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম একজন জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন হানিয়া। ২০১৬ সালে ‘জনান’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দাতে অভিষেক ঘটে। রোমান্টিক, কমেডি থেকে চরিত্রভিত্তিক সব ধরনের ভূমিকায় তার অভিনয় প্রশংসিতও হয়েছে।
সম্প্রতি ‘সর্দারজি ৩’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেন হানিয়া। এতে নূর চরিত্রে তার অভিনয় পাকিস্তান এবং ভারতে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org