দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত থেকে এই বছরের ৯৮তম অস্কার আয়োজনে ‘সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম’ বিভাগের জন্য নির্বাচিত হলো ভারতীয় সিনেমা ‘হোমবাউন্ড’।

ভারতের ২৪টি সিনেমাকে পেছনে ফেলে অস্কারের বিদেশি ভাষার সিনেমা প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিলো নীরজ ঘায়ওয়ান পরিচালিত এই সিনেমাটি।
১৯ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সিনেমাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে বলেও জানানো হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর ভারতের এক গ্রামে বড় হওয়া দুই শৈশববন্ধুর পুলিশে চাকরির স্বপ্ন এবং তাদের বন্ধুত্ব, আশা এবং হতাশার গল্পকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে এই সিনেমাটি। জানা যায়, এই সিনেমাটি ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। ছবিতে অভিনয় করেছেন ঈশান খাট্টার এবং জাহ্নবী কাপুরসহ নতুন প্রজন্মের অভিনেতারা।
সিনেমাটির পরিচালক নীরজ ঘায়ওয়ানের প্রথম সিনেমা ‘মাসান’ (২০১৫) একই বিভাগে প্রদর্শিত হয় ও পুরস্কার জিতেছিল। ‘হোমবাউন্ড’ ঘায়ওয়ানের দ্বিতীয় সিনেমা, যার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল এ বছরের ২১ মে ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে। তারপর সিনেমাটি জায়গা করে নেয় টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৫০তম আসরে।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে এই সিনেমাটি প্রদর্শনের পর ৯ মিনিট ধরে দর্শকরা দাঁড়িয়ে অভিনন্দনও জানান। এ ছাড়াও মেলবোর্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘হোমবাউন্ড’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র এবং শ্রেষ্ঠ পরিচালকের দু’টি পুরস্কার জিতে নেয়। টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি ‘পিপল’স চয়েস ইন্টারন্যাশনাল’ বিভাগে সেকেন্ড রানার-আপ হয়।
উল্লেখ্য, এবারের অস্কারে মনোনয়নের জন্য জমা পড়া অন্যান্য সিনেমার মধ্যে ছিল ‘তানভি: দ্য গ্রেট’ (হিন্দি), ‘দ্য বেঙ্গলি ফাইলস’ (হিন্দি), ‘পুষ্পা ২’ (তেলুগু), ‘কান্নাপ্পা’ (তেলুগু), ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’ (হিন্দি), ‘জুগনুমা’ (হিন্দি) ও ‘ফুলে’ (হিন্দি)। তবে এবারের আসরে কোনো বাংলা সিনেমা অস্কার দৌড়ের তালিকায় জায়গা পায়নি।
এবারের একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ১৫ মার্চ লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি তারিখে। গত বছর ভারতের অফিশিয়াল এন্ট্রি ছিল কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’, যদিও এই সিনেমাটি শর্টলিস্টে অবশ্য স্থান পায়নি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org