দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারে স্যাটেলাইট–নির্ভর ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংকের সব অনুষঙ্গই (কিট) পাওয়া যাবে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার।

প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে স্টারলিংকের অনুমোদিত পুনর্বিক্রেতা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছে। যে কারণে গ্রাহকরা স্টারলিংকের ইন্টারনেট সলিউশন সরাসরি গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারের সব শাখা ও তাদের ওয়েবসাইট থেকেও কিনতে পারবেন।
স্পেসএক্সের তৈরি স্টারলিংক মূলত একটি অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা, যা প্রত্যন্ত এবং অনুন্নত এলাকাতেও দ্রুতগতির, কম-বিলম্বের সংযোগ সরবরাহ করে থাকে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার বাংলাদেশি গ্রাহক, ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিশ্বমানের প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেলো।
গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারের বিপণন প্রধান মো. ইরফানুল হক খান বলেন, ‘গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারের লক্ষ্যই হলো গ্রাহকদের বিশ্বমানের প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। স্টারলিংকের অফিশিয়াল রিসেলার হিসেবে আমরা এখন বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই ইন্টারনেট ঘাটতি কমিয়ে দেশের মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহ করতে ভূমিকা রাখতে পারবো।’
স্টারলিংকের যেসব কিট পাওয়া যাবে
স্টারলিংক মিনি কিট
যারা প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করেন ও মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য পোর্টেবল সমাধান। দাম ২৬ হাজার ৫০০ টাকা।
স্টারলিংক স্ট্যান্ডার্ড কিট
বাড়ি ও এসএমই ব্যবসার জন্য সহজ সমাধান। দাম ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা।
স্টারলিংক ফ্ল্যাট হাই-পারফরম্যান্স কিট
যাদের উচ্চগতির, নিরবচ্ছিন্ন ও স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবিলিটি প্রয়োজন, এটি তাদের জন্য। দাম ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org