দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্রিসের অনেক প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক ধ্বংসস্থান যেমন Acropolis-এ হাই হিল (স্টিলেটো বা তীরযুক্ত হিলযুক্ত জুতা) পরিহার করা বাধ্যতামূলক!

কারণ এবং প্রেক্ষাপট
ধ্বংসস্থলগুলো (শিলা, মার্বেল ভেন্ড, পুরাতন মেইয়র দাঁত) অত্যন্ত নাজুক; হাই হিলের তীর কিংবা হিল-নকল সংস্পর্শে মার্বেল ক্ষয় হয়।
সে কারণে প্রশাসন এবং পুরাতত্ত্ব বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে- “প্রতিটি পর্যটকই হাই হিল না পরলে ধ্বংসের চাপ কম থাকবে”-এর মনোভাব থেকে।
বিনোদনমূলক পর্যটন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্থলে মানুষের চলাচল বাড়ছে, তাই খারাপ জুতা ব্যবহার রোধ করার জন্যই আইন সর্বপ্রয়োগী করা হয়েছে।
বিস্ময়কর দৃষ্টিকোণ
হাই হিল জুতা পুরোপুরি আইনগত নিষিদ্ধ না হলেও- “প্রচলিত নিয়ম” হয়ে গেছে যে, ঐতিহাসিক ধ্বংসস্থলে স্টিলেটো পরিধান করা ঠিক নয়।
এই আইন করার ফলে ইতিমধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। এই ধরনের আইন সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক না হলেও “জুতা-নির্বাচনেও আইন থাকতে পারে?” এমন ভাবনা চলে আসে।
প্রভাব এবং প্রতিফলন
ঐতিহাসিক ধ্বংসস্থান রক্ষা- এক ভালো উদ্যোগ হিসেবে দেখা হয়েছে। পর্যটক থেকেও মানুষ সচেতন হয়- “আমি কি পড়বো হাই হিল নিয়ে?”-র আগেই চিন্তা হয়।
তবে আইন প্রয়োগের মাত্রা ভিন্ন-ভিন্ন স্থান অনুযায়ী পরিবর্তিতও হতে পারে। কিছু জায়গায় “কেবল নির্দেশিকা” হিসেবেই রয়ে গেছে, আইনগত জরিমানা সব জায়গাতে নেই।
এই আইন দেখায়- ধ্বংসস্থান রক্ষণ এবং পর্যটক নিরাপত্তা নিয়ে আইন ও নিয়ম নতুনভাবে বিবেচনার বিষয় হতে পারে।
সীমাবদ্ধতা এবং ভাবনার বিষয়
অনেক পর্যটক হয়তো এই আইন জানেনই না, যে কারণে বানিজ্যিক দৃষ্টিতে পর্যটন-সেবা প্রদানকারীদের কাছে “হাই হিল নিষিদ্ধ”র বিষয় চ্যালেঞ্জও হতে পারে।
আইন শুধু হাই হিলই নয়- অন্য ধরনের জুতা কিংবা পর্যটক সরঞ্জামও ধ্বংসে অবদান রাখতে পারে, যা এখনও আইনগতভাবে পর্যালোচিত না।
ভবিষ্যতে ধ্বংসস্থলে পোশাক-নির্দেশিকা বা জুতা- নির্দিষ্ট নিয়ম আরও বিকশিতও হতে পারে। -Jaano Junction
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org