দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম ঢাকায় মঞ্চে আবারও গান গাইতে আসছেন। ডিসেম্বর মাসে পরপর দুটি কনসার্টে পারফর্ম করবেন এই তারকা শিল্পী।

একটি আয়োজন করছে ‘মেইন স্টেজ’, আরেকটি চ্যারিটি কনসার্টও আয়োজন করছে ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ নামে ওই প্ল্যাটফর্মটি।
‘মেইন স্টেজ’ নামে এই প্রতিষ্ঠানটি আগামী ১৩ ডিসেম্বর আয়োজন করছে ‘আতিফ আসলাম অ্যাট মেইন স্টেজ শো’। আয়োজকদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার ১০০ ফিট ও ৩০০ ফিট এলাকার মধ্যবর্তী ‘ঢাকা এরিনা’-তে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্টটি। সেদিন বেলা ১টা হতেই দর্শকদের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে। কনসার্ট শুরু হবে বিকেল ৫টায় ও চলবে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে যে, ‘ঢাকা, তোমরা কী প্রস্তুত? এক্স ফোর্স নিয়ে আসছে আতিফ আসলাম লাইভ অ্যাট দ্য মেইন স্টেজ শো! অ্যালার্ম সেট করে রাখুন- দল জড়ো করুন। কারণ এটি হতে যাচ্ছে বছরের সেরা একটি শো।’
আয়োজকদের মুখপাত্র রিসালাত জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক এবং নিরাপদভাবে আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের সঙ্গে ইতিমধ্যে নিয়মমাফিক কাজ চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, তরুণদের ইতিবাচক উদ্যোগকে সমর্থন হিসেবে কর্তৃপক্ষও সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে।
এই কনসার্ট এর টিকেট ‘চলোঘুরি ডট কম’ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। দু’টি ক্যাটাগরি- ‘জেনারেল’ এবং ‘ফ্রন্ট ভিআইপি’- এ বিক্রি করা হচ্ছে টিকেট।
অপরদিকে ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ প্ল্যাটফর্মটি এবার আয়োজন করতে যাচ্ছে চ্যারিটি কনসার্ট ‘ইকোজ অব রেভ্যুলেশন ২.০’। গত বছর গণআন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে সহায়তা করতেই তারা ‘ইকোস অব রেভ্যুলেশন’ নামে প্রথম কনসার্টটি আয়োজন করে।
আয়োজকদের একজন জাফর সাদিক জানান, ‘জুলাই শহীদ, আহত এবং তাদের পরিবারকে স্থায়ী পুনর্বাসন ও জুলাইয়ের চেতনাকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যেই এবারও দ্বিতীয় কনসার্ট আয়োজন করছি। এখান থেকে আয়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ যাবে “জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে”, যা শহীদ এবং আহতদের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন কর্মসূচিতে ব্যয় করা হবে।’
এই চ্যারিটি কনসার্টেও আতিফ আসলামকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ডিসেম্বরের ১২ তারিখ হতে ২০ তারিখের মধ্যে আয়োজন করা হবে কনসার্টটি। খুব শীঘ্রই আয়োজকরা ভেন্যু এবং বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করবেন।
তিনি আরও জানান, কনসার্টে লোকসংগীত, কাওয়ালি ও দেশি–বিদেশি ব্যান্ডের পরিবেশনা থাকবে। সেইসঙ্গে থাকবে জুলাই বিপ্লব–সংক্রান্ত আলোকচিত্র, গ্রাফিতি, মঞ্চনাটকসহ শিল্প–সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীও।
উল্লেখ্য, গত বছর ঢাকায় ‘লেটস ভাইভ আর্ট অ্যান্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল’ ও ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’-তে গান করেছিলেন আতিফ আসলাম।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org