দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘দেনা পাওনা’ শিরোনামে নতুন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে এই সিনেমাটি।

সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘ ১২ বছর অর্থাৎ এক যুগ পর আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন আলোচিত নায়িকা পলি।
গত ২৬ নভেম্বর এফডিসিতে করা হয় সরকারি অনুদানের এই চলচ্চিত্রের একটি গানের শুটিং। এর সংগীত পরিচালনায় রয়েছেন শেখ সাদী খান। এফডিসির ৮ নম্বর ফ্লোরে আইটেম গানের এই দৃশ্যায়ন করেন কোরিওগ্রাফার ইউসুফ খান।
এটি মূলত সিনেমাতে আইটেম গান হিসেবেই ব্যবহৃত হবে। এতে পলির সঙ্গে দেখা যাবে মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা মাহমুদুল ইসলাম মিঠুকে (বড়দা মিঠু)।
দীর্ঘ বিরতির পর চলচ্চিত্রে আবারও ফেরা সম্পর্কে পলি বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর পর আবার শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছি। এই গানটির শুটিং দিয়ে আমার থার্ড ইনিংস শুরু হচ্ছে। আগেও অনেক সিনেমার অফারও পেয়েছিলাম, তবে তখন ব্যাটে-বলে মিলছিলও না। সংসার এবং ব্যবসা নিয়ে ব্যস্তই ছিলাম। এখন ভাবলাম- বছরে দুই-একটি চলচ্চিত্র করা যেতেই পারে। তাই আবারও শুরু করলাম।
নিজস্ব স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তিনি আরও বলেন, ‘পলি মানেই হলো চমক। এই গানটিও হবে নতুন এক চমক। সিনেমাপ্রেমীরা নিশ্চয়ই পছন্দও করবেন।
২০০৩ সালের কথা। মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ‘ফায়ার’ চলচ্চিত্রে নায়ক মান্নার বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে পলির। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্রটি ছিল রাজু চৌধুরী ‘এক নম্বর আসামী’। এই সিনেমাটি ২০১২ সালে মুক্তি পায়।
১৩ বছরের ক্যারিয়ারে প্রায় ১১৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন পলি। মান্না, শাকিব খান, রুবেল, আমিন খান, অমিত হাসান, আলেকজান্ডার বো, মেহেদীসহ ঢালিউডের প্রায় সব জনপ্রিয় নায়কের বিপরীতেই কাজ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে পলি রাজধানী ঢাকার গুলশানে বসবাস করেন। চার সন্তানের জননী পলি পরিচালনা করছেন একটি বুটিক হাউস। তার স্বামী পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org