দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের অক্টোবর ১৯, প্যারিসের বিশ্বখ্যাত লুভর মিউজিয়াম-এর Galerie d’Apollon গ্যালারিতে একটি বিস্ময়কর চুরি সংঘটিত হয়- পরীক্ষিত নিরাপত্তা সত্ত্বেও ফরাসি রাজের মুকুট এবং মিলিয়ন ইউরো মূল্যের রত্নশোভা কয়েক মিনিটের মধ্যে লুপ্ত!

এটি লুভারে প্রথমবারের মতো কিংবদন্তি Crown Jewels চুরি, যা বিশ্ব জুড়ে আলোচিত ও বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
চাবির মতো গুরুত্বপূর্ণ রত্নগুলোর মধ্যে ছিল রাজকীয় সিংহাসনের প্রতীকী রত্ন এবং গহনার একটি সংগ্রহ, যা ফ্রান্সের ইতিহাসের শীর্ষস্থানীয় সংগ্রহের অংশ। মিউজিয়ামের সিসিটিভি ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, চোরেরা নিরাপত্তা কর্মীদের নজর এড়িয়ে বেশ কয়েকটি দরজা ও করিডোর পার হয়ে মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যে ভাণ্ডারে পৌঁছায় এবং রত্নের জায়ান্টিক ভাঁজ খুলি ছিনিয়ে নেয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তারা নির্মাণ কর্মীর পোশাক পরে আইনসম্মতভাবে ভেতরে ঢোকার ছদ্মবেশ নেয়। তাদের আচরণ শান্ত ও পেশাদার ছিল- যেমন কেওই সন্দেহও করেনি যে এটি আসলে এক পরিকল্পিত চুরির ঘটনা। এই কৌশলটি একে কেনা কিংবা সেকেন্ড-গ্রেড চোরাইয়ের মতো সাধারণ ঘটনা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করেছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ চার্জভুক্ত পাঁচজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে এবং আরও কিছু সন্দেহভাজনকে তল্লাশিতে রাখা হয়েছে; তবুও চুরি করা Crown Jewels এখনও অনুপস্থিত- যা গোটা বিশ্বে তদন্তকারী সংস্থাগুলোর জন্য এক রহস্য ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার সত্ত্বেও এমন একটি প্রতীকী ও অমূল্য সংগ্রহকে রাতের আঁধারে চুরি হয়ে যাওয়া – বিজ্ঞানের চোখে, নিরাপত্তা তদন্তের জন্য এবং গোয়েন্দা ইতিহাসে এক অনির্বচনীয় ঘটনা। এই ঘটনাটি শুধু এক বিরল চুরি হিসেবেই নয়, বরং বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম সাহসী ও পরিকল্পিত শিল্পকর্ম চুরির উদাহরণ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। সূত্র: Wikipedia
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org