দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সকালের নাস্তা দিনের একটি গুরুত্বপুর্ণ অংশ। সকালের নাস্তা ঠিকমতো না হলে দিনের বাকীটা সময় এর প্রভাব শরীরের ওপর পড়ে। তবে সকালের নাস্তা শুধু করলেই হয় না! অনেকে টুকটাক কিছু ভুল করে থাকেন, এর মধ্যে নয়টি বিশেষ ভুলের কথা এই প্রতিবেদনে থাকছে।
ফল জুস করাঃ
যখন আপনি ব্লেণ্ডারে করে ফল জুস করেন তখন বেশ কিছু ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। এর চেয়ে ফলগুলো চিপে (বিশেষ করে কমলালেবু) সেখান থেকে জুস বানিয়ে পানি দিয়ে মিশ্রিত করে খাওয়া ভালো, এতে করে আপনার কিছু ক্যালরি বাঁচবে!
স্বল্প পরিমাণে নাস্তা করাঃ
আপনি সকালের নাস্তা যতোই কম খান না কেন, দিনের অন্যান্য সময় যে বাড়তি তেলের খাবার খাবেন এতে করে কিন্তু খুব একটা লাভ হবে না! কাজেই সকালের খাবার ব্যাপারে অবহেলা না করে পরিমিত খান।
সকালের নাস্তায় ভারী খাবার রাখার ব্যাপারে সচেতন হোনঃ
সকালে যদি কেউ আপনাকে খাবার ট্রিট দিতে চায় তাহলে সেটা বিনয়ের সাথে প্রত্যাখান করুন। আপনি যদি সুখী স্বাস্থ্য পেতে চান তবে এই অভ্যাসটি করতে হবে। সকালের নাস্তায় হালকা খাবার ব্যাতিরেকে ভারী খাবার একেবারেই গ্রহণ না করার মানসিকতা তৈরি করুন।
এককাপের বেশী পান নয়ঃ
সকালের এককাপ কফি কিংবা এককাপ চা আপনার মনকে করে তুলতে পারে সতেজ। কিন্তু এককাপের বেশী কখনওই পান করবেন না, এটা আপনার শরীরের জন্য হুমকি স্বরুপ হয়ে দেখা দিতে পারে!
অস্বাস্থ্যকর নাস্তাঃ
চকোলেট জাতীয় খাবারগুলো সকালে এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এতে উচ্চ মাত্রার ফ্যাট জাতীয় আইটেম থাকার কারণে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
সকালের নাস্তাকে অগুরুত্বপূর্ণ ভাবাঃ
আপনি যদি মনে করেন আগের রাতে বেশ অনেকখানিই খাবার খেয়েছেন, পেট এখনও ভরা, সকালের নাস্তা খাবার খুব বেশী প্রয়োজন নেই, তবে এটা ভুল ধারণা। সকালের নাস্তা না করলে আমাদের বিপাক কার্যক্রম ধীর করে দেয় এবং এটা আমাদের অবসন্ন করে তোলে! কাজেই সকালের নাস্তায় ফাঁকি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই!
সকালের নাস্তার বুফে এড়িয়ে চলুনঃ
বুফে লাঞ্চের মতো যদি সকালেও বুফে নাস্তার কোনো ব্যবস্থা থাকে, তবে সযতনে এসব এড়িয়ে যাওয়াটাই মঙ্গলজনক। লোভে পরে প্রচুর মিষ্টিজাতীয় দ্রব্য, চকোলেট খাবেন না, এতে করে শরীরে ফ্যাট উপাদান বেড়ে যাবে। নিয়মিত যে নাস্তা করেন সেটিই বহাল রাখুন। দুধ, ডিম, রুটি এবং কলা সকালের উপযুক্ত নাস্তা!
পেট ভরে নাস্তা করুনঃ
কিছুটা গরম জল খাওয়া সকালের প্রথম কাজগুলর একটি। এরপর পেট ভরে নাস্তা করবেন। এটি আপনাকে কঠিন রোগগুলো থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হবে এবং আপনাকে দিবে পরিপুর্ণতা।
স্বাস্থ্যসম্মত নাস্তা না করা:
স্বাস্থ্যসম্মত নাস্তা করুন। যেমনঃ এককাপ লেবু চা, কিংবা কলা, রুটির সাথে ডিম অথবা গম ইত্যাদি।
তথ্যসূত্রঃ healthmeup