দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শেষ ভালো যার, সব ভালো তার! লোকমুখে প্রচলিত এই কথার ওপর দাঁড়য়ে বিশ্বের প্রথম বানিজ্যিক মহাকাশ যান ড্রিম চেজারের প্রথম উড্ডয়নের সফলতার বিচার করলে হয়ত বিফলতার পাল্লাটিই ভারি হবে। তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিয়েরা নেভাদা জানিয়েছে, উড্ডয়ন শেষের ঝাঁকিটা ছাড়া বাকি পুরোটা সময় বেশ ভালোয় ভালোয় সমাপ্ত হয়েছে।
ড্রিম চেজার বাংলায় যার অর্থ স্বপ্ন শিকারী। বাস্তবিক অর্থে স্বপ্ন শিকারী বৈকি। শুরুর দিকে এটিকে মহাকাশচারীদের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাত্রার মহাকাশ যান হিসাবে ব্যবহার করা হবে। আসলে ঠিক মহাকাশ যান নয় এটি মহাকাশ বিমান বলা যেতে পারে। কার্গো হিসাবে এটি বার বার ভ্রমণ করতে পারবে।
শনিবার মনুষ্যবিহীন অবস্থায় আমেরিকার দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার এডওয়ার্ড এয়ার ফোর্স বেইজ থেকে উড্ডয়ন শুরু করে। সেদিনকার আবহওয়া বেশ শান্ত ছিলো বলেই বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে। বিমান ঘাঁটি ছাড়ার পর থেকে বেশ মসৃণ গতি, ঠিক করে দেয়া গতিপথেই চলেছে ড্রিম চেজার। কিন্তু উড্ডয়ন শেষে ল্যান্ড করার সময়েই দেখা দিলো বিপত্তি। ড্রিম চেজারের বাম পাশের যে ল্যান্ডিং গিয়ার থাকে, কোনো অজানা কারণে সেদিন সেই ল্যান্ড গিয়ার কাজ করেনি। তাই মোজাভে মরুভূমির ল্যান্ডিং রানওয়ের রাস্তা দিয়ে হোঁচট খেয়ে এগিয়েছে ড্রিম চেজার। এতে হবু মহাকাশচারী বিমানটির কিছু ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি। তবে ঠিক কয় ধরনের এবং কতখানি মারাত্মক ক্ষতি তা বিস্তারিত জানায়নি তারা। তবে উড্ডয়নকে সফল বলেই দাবি করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিয়েরা নেভাদা। সিয়েরা নেভাদার একজন কর্মকর্তা জানান, ‘আমাদের আজকে বেশ সফল একটি দিনই গেছে। তবে শেষদিকটার বিপত্তিটা একটা ব্যতিক্রম।’
ড্রিম চেজার নির্মান প্রকল্পের জন্য সিয়েরা নেভাদা আমেরিকার মহাকাশ গবেষক প্রতিষ্ঠান নাসার কাছ থেকে ২২৭.৫ মিলিয়ন আমেরিকান ডলারের একটি সাহায্য পেয়েছে। স্পেস এক্স এবং বোয়িং কর্পোরেশনেও একই ধরনের প্রকল্পে সহায়তা দিচ্ছে নাসা। প্রকল্পগুলোর মূল উদ্দেশ্য ২০১৭ সালের মধ্যে নাসার মহাকাশচারীদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় বাহন প্রস্তুত করা।
তথ্যসূত্র: সি-নেট, এনবিসি নিউজ, ওয়াশিংটন পোস্ট