দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গতকাল স্প্যানিশ প্রিমিয়ার লীগের খেলায় প্রতিপক্ষ রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় জয়ের দেখা পেয়েছে বার্সেলোনা। কিন্তু জয়ের রাতে লিওনেল মেসিকে মাত্র ২০ মিনিটের মাথায়ই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ইঞ্জুরিতে পড়ে! আর নিজে দুই গোল করে এবং এক গোল করিয়ে বার্সার জয়ের নায়ক বনে গেলেন সেস ফ্যাব্রিগাস।
ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথাতে রহস্যজনক হ্যামস্ট্রং ইঞ্জুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি। এতে অবশ্য বার্সেলোনা হতোদম্য না হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে থাকে। ফলাফল ম্যাচের ৩৬ মিনিটের মাথায় সেস ফ্যাব্রিগাসের সহযোগীতায় বার্সেলোনার হয়ে প্রথম গোলমুখ খোলেন নেইমার। ফ্যাব্রিগাস ব্যাক পোষ্ট থেকে উঠে এসে নেইমারকে বল পাস দিলে, নেইমার নিখুঁত ফিনিশিং প্রদান করেন।
৩৬ মিনিটের পর ৩৭ মিনিটেই আবার গোল পেয়ে যায় বার্সা। এবার গোল করেন পেদ্রো। আগের গোল হজম করে বেটিস যখন পুনরায় খেলা শুরু করতে যাচ্ছিলো তখনই মাঝমাঠ থেকে বল কেড়ে নিয়ে তীব্র আক্রমণে এগিয়ে যান বার্টা, এবং পেদ্রোকে পাস দিলে, গোলরক্ষককে একা পেয়ে পেদ্রো বার্সাকে ২-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যান।
৪৫ মিনিটে পেদ্রোর কাছ থেকে আরও একটি দারূণ সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেন নেইমার। নইলে প্রথম অর্ধেই বার্সা ৩-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারতো।
পুরো ম্যাচে দারূণ খেলে যাওয়া ফ্যাব্রিগাস গোলের দেখা পান ৬৩ মিনিটে এসে। ইনিয়েস্তার দারূণ এক পাস থেকে মন্টোয়া বল স্লাইড করে পাঠিয়ে দেন ফ্যাব্রিগাসের কাছে। গোলপোস্টের কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা ফ্যাব্রিগাস হাই ব্যাক লাইন দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে।
দানি আলভেস প্রায় ফাঁকা পোষ্টের কাছে ৭৯ মিনিটে ফ্যাব্রিগাসকে বল পাস করলে, ফ্যাব্রিগাস গোল করতে ভুল করেননি। বার্সা ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিজয় নিশ্চিত করে। অবশ্য ম্যাচ শেষের অতিরিক্ত দুই মিনিটে বেটিস একটি গোল শোধ করে। নিজেদের গোলপোষ্টের কাছে দানি আলভেস ফাউল করে হলুদ কার্ডের দেখা পেলে ম্যাচ রেফারী পেনাল্টি দেন বেটিসকে। সেখান থেকে জর্জ মলিনা একমাত্র গোলটি করেন।
অন্যদিকে মেসির ইঞ্জুরিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল সংস্থা। আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত খেলাগুলোয় দেশের হয়ে অংশ নিতে পারবেন কীনা এটা জানা যাবে মেসির বাঁপায়ের হ্যামিস্ট্রং ইঞ্জুরির মাত্রা কতোটুকু এটার উপর! ডাক্তার এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলেননি।