দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ থ্রি-ডি প্রিন্টার সম্প্রতি বেশ আলোচনার সূত্রাপাত করেছে। বিভিন্ন খাবার থেকে শুরু করে, কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, টুকটাক যন্ত্রপাতি সহ প্রায় সব কিছুই এটার মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব হবে জানা গেছে। থ্রি-ডি প্রিন্টার প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এবার তৈরি করা হল সত্যিকারের বন্দুক।
থ্রি-ডি প্রিন্টার দ্বারা নির্মিত আগ্নেয়াস্ত্রটি থেকে সফল ভাবে গুলি ছোড়াও হয়েছে। আমেরিকায় ‘ডিফেন্স ডিস্ট্রিবিউটেড’ নামে টেক্সাসের একটি বিতর্কিত গোষ্ঠী এই অভিনব আগ্নেয়াস্ত্রটি তৈরি করেছে। তারা গুলি ছুড়ে এর কার্যকারিতা দেখিয়েছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে বন্দুকটি প্লাস্টিকের তৈরি। এটি সাদা রং এর এবং ছোট আকারের। অনেকে প্রথম দেখাতে খেলনা ভেবে ভুল করতে পারেন।
নির্মাতারা অনলাইন বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ই-বে (Ebay) থেকে মাত্র আট হাজার ডলার দিয়ে একটি থ্রি-ডি প্রিন্টার কিনেন। প্রিন্টারটি কাজে লাগিয়ে এবার তৈরি যন্ত্রাংশগুলো দিয়ে তারা এই আগ্নেয়াস্ত্রটি তৈরি করতে সক্ষম হন।
মজার বিষয় হলো বন্দুকটি প্লাস্টিক এর তৈরি হওয়ার কারণে আগ্নেয়াস্ত্র মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পড়বে না। এছাড়া তল্লাসিতেও এটা এড়িয়ে যেতে পারে। ‘ডিফেন্স ডিস্ট্রিবিউটেড’- এর প্রধান এবং টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র কোডি উইলসন বলেছেন, ‘ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা এখন এই বন্দুক তৈরির কৌশলটি সবাইকে জানিয়ে দিতে চান।’ আমেরিকা ছাড়া বেশিরভাগ দেশই নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা অবৈধ। নতুন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা অনলাইনে বন্ধুক তৈরি উপায় এবং থ্রি-ডি প্রিন্টার ছড়িয়ে পড়া বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
ভিডিও তে বিস্তারিত দেখুন-
https://www.youtube.com/watch?v=u9zucZ68UpY
সহজে হাতে বন্দুক পাওয়ার এই অভিনব পন্থা আবার অপ্রীতিকর কোনও ঘটনায় ইন্ধন দেবে কিনা তা নিয়ে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। কিন্তু কোডি উইলসন জানিয়েছেন এই বন্দুক মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি