দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুটি আজব প্রাণীর কথা আজকের কাহিনীতে রয়েছে। একটি প্রাণী পানি খায় না। আর একটি হলো রঙ্গিন চিংড়ি। যা আমরা কখনও দেখিনি।
পৃথিবীতে কত রকমের প্রাণীর বাস তা সঠিকভাবে বলা সত্যিই মুশকিল। এক এক প্রাণীর বৈশিষ্ট্যও এক এক রকমের। কেও শীত কাতর, আবার কেও গরম কাতর। আবার কেওবা সারাক্ষণ পানির মধ্যে থাকতে পছন্দ করে। আবার কেও পানির ধারে কাছে যেতেও ভয় পায়। এমন নানা ধরনের প্রাণীর বাস এ জগতে।
আজ আপনাদের জন্য এমনই দুটি প্রাণীর কাহিনী রয়েছে। যে কাহিনী খুব সামান্য ঘটনা মনে হলেও আমাদের অনেকেরই জানা নেই এমন তথ্য। আমরা এমনই দুটি প্রাণীর কথা জেনেছি তার একটি হলো গাছের প্রাণী কোয়ালা। এই প্রাণী পানি খায় না। অপর একটি প্রাণী যা আমরা সবাই চিনি। চিংড়ি মাছ। তবে আমরা দেখেছি চিংড়ি মাছ সাদা হয়। কিন্তু কখনও যদি শোনেন চিংড়ি রঙ্গিন তাহলে কেমন লাগবে। অন্তত অভিজ্ঞতাটা থাকা দরকার। আর তাই আমাদের এ উদ্যোগ। তথ্যসূত্র: অনলাইন।
পানি খায় না যে প্রাণী
গাছে গাছে থাকে যে প্রাণী তাকে বলা হয়, গাছের প্রাণী কোয়ালা। মাটিতে নামে না সহজে এই কোয়ালা নামক প্রাণীটি। আবার পানি খায় না কখনও। হয়তো অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে বাঁচে কি করে এই প্রাণী? কারণ পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া কি কেও কখনও বাঁচতে পারে?
প্রাণী গবেষকরা বলেছেন, ইউক্লিপটাস গাছের পাতা থেকে এই কোয়ালা তাদের পানির অভাব পূরণ করে। এই পাতায় নাকি পঞ্চাশ ভাগ পানি থাকে। যখনই তাদের পানির পিপাসা লাগে তখনই তারা তারা বেশি বেশি ইউক্লিপটাসের পাতা খায়। শুধুমাত্র প্রাকৃতিক প্রয়োজনে কোয়ালা মাটিতে নেমে থাকে। আর এই প্রয়োজন মিটে গেলে সাথে সাথে গাছের ডালে ফিরে যায় তারা।
নীল ও হলুদ চিংড়ি
চিংড়ির সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। আমরা যেসব চিংড়ি খাই তার শরীরের রঙ স্বচ্ছ সাদাটে এবং গায়ের রঙও সাদা। আমরা কি কখনও চিন্তা করেছি চিংড়ির গায়ের রঙ নীল বা হলুদ হতে পারে? হ্যাঁ, তাই হতে পারে।
গবেষকরা দিয়েছেন এমন এক আজব তথ্য। তারা বলেছেন, প্রতি ৪ মিলিয়ন চিংড়ির মধ্যে একটি করে চিংড়ি জন্মগত কারণে নীলবর্ণের হতে পারে এবং প্রতি ৩০ মিলিয়নের মধ্যে একটি হলুদ বর্ণের হতে পারে।