ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও নিখোঁজের ঘটনা। এবার ঘটেছে রাজশাহীতে। রাজশাহীর এক ব্যবসায়ী গত ৪ দিন হলো নিখোঁজ রয়েছেন। তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে র্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ওই ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ গত চার দিন হলো নিখোঁজ রয়েছেন। চার দিনেও কোন সন্ধান মেলেনি ওই ব্যবসায়ীর। ইতিমধ্যে এই মামলায় ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধারে র্যাব ও পুলিশের পৃথক দুটি টিম কাজ করছে। এখনও শরীফের খোঁজ না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন হতাশ হয়ে পড়েছেন। শরীফের ছোট ভাই চাল ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম জানান, ২৫ মে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা পৃথকভাবে শরীফের স্ত্রী জুলি, শ্যালক মোজাহীদ হোসেন ও তার দোকানের ম্যানেজার হায়দার আলীসহ চার কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ওইদিন সকাল থেকে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় তাদের নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া গ্রেফতারকৃত রিপন ও চপলকে তিন দিনের রিমান্ডে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ও র্যাব।
উল্লেখ্য, ২৩ মে হতে ওই ব্যবসায়ী নিখোঁজ রয়েছেন। শরীফের পরিবারের দাবি, পাওনা টাকার জের ধরে ওইদিন বিকালে তিনি অপহরণের শিকার হয়েছেন। শরীফের ব্যবসায়িক পার্টনার রিপন এই অপরহণের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এদিকে শরীফ অপহরণের ঘটনায় তার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম শহিদ বাদী হয়ে ২৩ মে সন্ধ্যায় নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ২৩ মে রাতে অভিযান চালিয়ে শরীফের ব্যবসায়িক পার্টনার মোহাম্মদ রিপন ও মোহাম্মদ চপলকে গ্রেফতার করে। ২৪ মে দুপুরে তাদের সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে আদালত দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়াও ২৪ মে দুপুরে শরীফের দোকানের কর্মচারী টপিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। শরীফ অপহরণের পেছনে টপিও জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ ও অপহূত শরীফের পারিবারিক সূত্র জানায়, মহানগরীর আরডিএ মার্কেটের শরীফ গার্মেন্টসের মালিক শরিফুল ইসলাম শরীফের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল অপর গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রিপনের। রিপন চায়না থেকে আমদানিকৃত এবং দেশীয় কাপড় সরবরাহ করত শরিফুলের কাছে। এ বাবদ শরিফুলের কাছে তিনি প্রায় ৩৫ হাজার টাকা পেতেন। এই টাকা নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ১০ দিন আগে পাওনা টাকার জন্য রিপন ও তার বন্ধু চপল শরীফের দোকানে এসে তাকে গালাগাল করে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এরপর শরীফ তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় জিডি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৩ মে বিকালে শরীফকে অপহরণ করে রিপন ও চপলসহ তাদের লোকজন- শরিফের নিকট আত্মীয়রা এমনটাই মনে করছেন।