দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রায় ৩ হাজার ৭’শ বছর পুরোনো ব্রোঞ্জ যুগের এক ব্যক্তিগত ভূগর্ভস্থ মদের ভাণ্ডার আবিষ্কার করেছেন যেখানে ছিল প্রায় ৫০০ গ্যালন মদ!
গবেষকরা জানিয়েছেন সদ্য আবিষ্কৃত এই ভূগর্ভস্থ মদের ভাণ্ডার প্রায় ৩ হাজার ৭’শ বছর পুরোনো অর্থাৎ এটি খ্রিষ্ট পূর্ব ১৭০০ সালের দিকের এক পুরাতত্ত্ব নিদর্শন!
গত শুক্রবার বাল্টিমোর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রত্নতত্ত্ববিৎ’রা বর্তমান ইসরায়েলের এই পুরাতত্ত্ব নিদর্শন নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। সেখানে পাওয়া অসংখ্য ওয়াইন তৈরির বোতলের মাধ্যমে তৈরি করা ওয়াইন দিয়ে প্রায় ৩,০০০ টি ওয়াইন বোতল ভরিয়ে ফেলা যাবে একই সাথে ঐ যায়গায় ৭ জন মানুষ গুসল করার জন্য আলাদা ৭টি বাথটাব ও পাওয়া গিয়েছে।
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন এই সব সৃষ্টিশীল মূল্যবান ওয়াইন তৈরি যন্ত্র অনেক মূল্যবান যা অতীতে কেবল ওয়াইন তৈরি ছাড়াও এসব জিনিস অনেক সৃজনশীল। ঐ সময়ের মানুষ এসব বোতলে রেজিন, শস্য থেকে পাওয়া তেল এবং শস্য দানা এবং গাছের ছাল ব্যবহার করে ওয়াইন তৈরি করতেন। ঐ সব ওয়াইন অনেকটা গ্রীক ওয়াইনের মতোই প্রাকৃতিক রেজিন সমৃদ্ধ ছিল।
ইসরায়েলের ভূমধ্য সাগরের উপকূল ধরে প্রায় ৪ মাইল এলাকা ধরে বিগত ৮ বছর ধরে এই গবেষণা দল বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে পাওয়ার কাজ চালিয়ে আসছিলেন। সদ্য আবিষ্কৃত এই পানশালা প্রায় ৮,০০০ স্কয়ার মিটার যা আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার ৭শ বছর আগে যেকোনো প্রাকৃতিক কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এই পানশালাতে পাওয়া বিশাল আকারের জগ সমূহ প্রায় ৩ ফুট লম্বা এবং এসব জগে ১৩ গ্যালন করে মদ ধরে। এধরণের ৩৯ টি বিশাল আকারের জগ প্রত্নতত্ত্ববিৎ’রা এখানে খুঁজে পেয়েছেন যা অত্যন্ত মূল্যবান পুরাতত্ত্ব নিদর্শন।
এদিকে গবেষকরা জানিয়েছেন এইসব বিশাল আকারের জগে থাকা ওয়াইন সমূহ অনেক আগেই শুকিয়ে গেছে তবে এসব জগের ভেতরে ঐ সব ওয়াইনের কিছু শুকনো নমুনা থাকতে পারে যা দিয়ে গবেষণা চালানো যেতে পারে। গবেষকরা এখনও জানেনা কিভাবে ঐ সময় এসব ওয়াইন তৈরি করতেন, তবে এসব ওয়াইন তৈরির বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা চলছে প্রকৃত রেসিপি কি ছিল তা উদ্ধার করার।
সূত্রঃ এনপিআর