দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পিঠ থেকে শুরু করে কোমর পর্যন্ত ব্যথাকে সাধারণ ‘ব্যাক পেইন’ বলে অভিহিত করা হয়। সচরাচর প্রচুর মানুষ এই ব্যাক পেইনে ভোগেন। দৈনন্দিন জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস সহ বিভিন্ন বাজে অভ্যাসের কারণে যে কেউ ব্যাক পেইনে আক্রান্ত হতে পারেন। সেরকম আটটি বাজে অভ্যাস আছে যা এড়িয়ে চলে ব্যাক পেইন থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
পুরনো তোশকে ঘুমানোঃ
যে কোন ভালো তোশক সাধারণত আট থেকে দশ বছর ব্যবহার করা যায়। এই সময়ের বেশি বয়সের তোশক ব্যবহার করলে ব্যাক পেইন হতে পারে সুতরাং বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে নতুন তোশক ক্রয় করা যেটি বেশি নরম কিংবা শক্ত হবে না।
ভারী ব্যাগ বহন করাঃ
ভারী ব্যাগ কাঁধে বহন করলে শরীর ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে এবং ফলে পিঠে ব্যথা হয়। সুতরাং ছাত্র – ছাত্রী কিংবা চাকুরীজীবি যেই হোন না কেন সবার উচিত ভারী ব্যাগ বহন এড়িয়ে চলা এবং হালকা ব্যাগ ব্যবহার করা।
উঁচু হিল কিংবা সমতল জুতা ব্যবহারঃ
ফ্যাশনের জন্য মেয়েরা অনেকসময় উঁচু হিল ব্যবহার করেন আবার অনেকে সমতল জুতা ব্যবহার করেন। দুটোই ক্ষতিকর অভ্যাস, যার কারণে ব্যাক পেইন হয় কারণ দুইক্ষেত্রেই দেহের ওজন সমতা রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। তাই অপেক্ষাকৃত নিচু হিল পরে চলাফেরা করা ভালো। নিজের হাঁটার ছন্দের সঙ্গে মিলে যায় – এমন জুতা ব্যবহারই ভালো তবে সামান্য হিল হলে ভালো।
বিদ্বেষ মনে ধরে রাখাঃ
একটি গবেষণায় জানা গেছে যারা মনে বিদ্বেষ ধরে না রেখে ক্ষমার চর্চা করেন তারা হতাশাগ্রস্থতা, বিষণ্ণতা এবং ব্যাক পেইন আক্রান্ত কম হয়। যে কারো আবেগ, চিন্তাভাবনা ব্যাক পেইনকে প্রভাবিত করতে পারে।
সারাদিন বসে থাকাঃ
চাকুরীজীবি যারা কিংবা যারা অন্য কোন কারণে চেয়ারে সারাদিন বসে থাকেন তাদের জন্য দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এইভাবে সারাদিন বসে থাকলে শরীরের পেছনের অংশে চাপ পড়ে এবং ব্যথা অনুভূত হয়। এক্ষেত্রে উপদেশ হচ্ছে একটানা বসে না থেকে হাঁটাচলা করতে হবে এবং বসার সময় মাথা সোজা করে শিরদাঁড়া টানটান বসতে হবে।
শারীরিক ধকল থাকাঃ
শারীরিক ধকলজনিত কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে। সুতরাং সবসময় ফিট থাকা জরুরি। সেক্ষেত্রে ব্যায়াম, মেডিটেশন অথবা উষ্ণ স্নানের মাধ্যমে ধকল সামলিয়ে নিতে হবে।
ব্যায়াম থেকে বিরত থাকাঃ
ব্যায়াম সুস্বাস্থ্যের জন্য খুব প্রয়োজনীয় কাজ যা মানুষকে শারীরিকভাবে ফিট রাখে। ব্যায়ামে বিরত থাকে এ পিঠ ব্যথা হতে পারে। ব্যাক পেইন থেকে বাঁচতে জগিং, হাঁটা, হাত-পা-পেট ও পিঠের হালকা ব্যায়াম নিয়মিত করুন।
প্রচুর জাংক ফুড খাওয়াঃ
পুষ্টিমান কমের হাই ক্যালরি সমৃদ্ধ জাংক ফুড খেলে সবার অতিরিক্ত ওজন হয়ে যায়। আর অতিরিক্ত ওজন হলেই শরীরে বাসা বাঁধে ব্যাক পেইন। যারা অধিক ওজনের অধিকারী তারা দেহের শতকরা ৫ – ১০ ভাগ ওজন কমিয়ে ফিট পিঠ ফিরে পেতে পারেন।
তথ্যসূত্রঃ ফিটনিয়া