দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে অপশক্তির আক্রমণ এবং কোন একটি মহল কর্তৃক দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক খাত গার্মেন্টসে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ।
গত ২৯ নভেম্বর তারিখে গাজীপুরের সবচেয়ে বৃহৎ গারমেন্টস প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসে দুষ্কৃতিকারীরা আগুন দেয়, সেই আগুনে পুড়ে গেছে সম্পূর্ণ গার্মেন্টস, বিভিন্ন শ্রমিক সূত্রে জানা যায় স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের মালিক জনাব ইঞ্জিনিয়ার মশারফ হসেন একজন ধর্মপ্রান মানুষ এবং তিনি তার কারখানার শ্রমিকদের বেতন কখনো বকেয়া রাখতেন না। সুতরাং ঐ আগুন স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কোন শ্রমিক দেয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানায়, গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস করতে কোন এক মহল সচেষ্ট। এখনই এই অসাধু মহলকে আইনের আওতায় নিয়ে না আসলে সামনে আরও অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে বলেও বক্তারা সাবধান করেদেন।
এর আগে জরুরী সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়, সভায় বিজিএমইএ এর সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন, সোমবার দুপুর ৩ টায় বিজিএমইএ , বিকেএমইএ ও বিটিএমএ এর যৌথ আয়োজনে বিজিএমইএ ভবনের নুরুল কাদের মিলনায়তনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গার্মেন্টস মালিকরা বলেন, আমরা এখন আগুনে পোড়া বাঘ, আমরা বিচার না নিয়ে ঘরে ফিরবো না, বিভিন্ন সময় গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন মহল সচেষ্ট। এর আগে এক গার্মেন্টসে এক মহিলা আগুন দিতে গিয়ে ধরা পড়ে কিন্তু সরকার কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সেই ঘটনার কোনও সুরাহা আজও করতে পারেনি। ঐ ঘটনার যদি নিষ্পত্তি হত এবং দোষীদের ধরা হত তাহলে আজ স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপে এভাবে আগুন দেয়া হতনা।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের রাজনিতিক অস্থিরতা চলছে ফলে এমনিতেই বিদেশী ক্রেতারা বাংলাদেশ মুখী হতে চাইছেনা এরই মাঝে এভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে যদি আগুন লাগানো হয় তবে এদেশে গার্মেন্টস শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবেনা। বক্তারা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার যোর দাবি জানান।
সভায় বিকেএমইএ, বিজেএমইএ, বিটিএমএ এর সভাপতিরা সহ স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের মালিক এবং অন্যান্য আরও বেশ কয়েকজন গার্মেন্টস শিল্প মালিক উপস্থিত ছিলেন।