ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাসপাতালে পানি নাই, বিদ্যুৎ নাই এমন খবরও আমাদের পড়তে হয়। খবর পাওয়া গেছে, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ৩০ মে থেকে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে পুরো হাসপাতাল।
প্রকাশ থাকে যে, পানি বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার কারণে রোগী, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতরা চরম বিপাকে পড়েছেন। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও পানির পাম্প পুড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পানি ও বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক রোগী চিকিৎসা শেষ না হতেই বাধ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিন পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, বহির্বিভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ ও তাদের সাক্ষাতের টিকিট সংগ্রহের জন্য রোগীরা অপেক্ষা করছেন। কক্ষের ভেতরে অবস্থানরত চিকিৎসা ও হাসপাতালের কর্মীরা প্রায় অন্ধকারেই তাদের কাজ করে যাচ্ছেন। অপরদিকে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে ভ্যাপসা গরমে। দ্বিতীয় তলার পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের অনেক রোগীকে রুমাল দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে বিছানার মধ্যে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। কারণ পানির অভাবে কয়েকদিন ধরে টয়লেটগুলো পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পানির অভাবে টয়লেটগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমে হাত পাখায় ভরসা করতে হচ্ছে রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনের। রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা নিচে নেমে এসে টিউবওয়েল থেকে পানি নিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডায়রিয়া রোগী সোহাগীর (৫) বাবা আবদুস সালাম বলেন, ‘কারেন্ট না থাকায় হামরা খাওয়ার পানি পাইছি না, আর লেফটিনোত গেইলে ওইটেও পানি নাই। নিচ থেকে মসজিদের পানি দিয়ে কাজ সারতে হচ্ছে।’
আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে সুনজর দেবেন এবং জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।