দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৮ দলীয় জোটের ৮৩ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। তবে একেবারেই নিরুত্তাপ। আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ চলবে আগামী মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। এই অবরোধ ১৮ দলের পঞ্চম দফা অবরোধ কর্মসূচি।
টিকাদান কর্মসূচি এই অবরোধের মধ্যে পড়ায় জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত জাতিসংঘ ও স্বাস্থ্য বিভাগের যানবাহন এই অবরোধের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে এছাড়াও সংবাদপত্র ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আওতামুক্ত থাকবে বলে জোটের পক্ষ থেকে পূনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
এদিকে আজ অবরোধের ঘোষণা দিলেও রাজধানীসহ সারা দেশে তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়েছে অবরোধ। সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে প্রায় সব ট্রেন। অপর দিকে দূরপাল্লার বাস আজ চালানোর কথা থাকলেও ভোরে কয়েক িকাউন্টারে খবর নিয়ে জানা যায়, এখনও কোন বাস চলাচল শুরু হয়নি। উত্তরাঞ্চলের একটি কাউন্টার থেকে জানানো হয়, মালিকরা সিদ্ধান্ত জানালে বাস চলবে। মালিকরা এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেননি এমনটা জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, শনিবার (আজ) থেকে দূরপাল্লার সব বাস চলবে। তিনি বলেছেন, মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সরকার এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণও দেবে এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে বাস মালিকরা কেও কেও গাড়ি রাস্তায় বের করার কথা বললেও অনেকেই আবার এর বিরুদ্ধে বলেছেন, রাস্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে, তবেই গাড়ি চালানো সম্ভব হবে। তাছাড়া মালিকরা বলেছেন, রাস্তার অনেক স্থানে রাস্তা কেটে রাখা হয়, গাছ ফেলে রাখা হয়, এগুলো তাৎক্ষণিক অপসারণ না করলে কিভাবে রাস্তায় গাড়ি চলবে।
এদিকে সারাদেশে শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। বিভিন্ন জেলা শহরে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ায় জামায়াত-শিবিরসহ আন্দোলনকারীরা এখন ফেরারি হয়ে আছেন। যে কারণে অবরোধে রাস্তায় ব্যরিকেড ও ভাংচুরের ঘটনা কমে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজধানীতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরুর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন এ সংক্রান্ত খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত ও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট আন্দোলন করে আসছে।