দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ আপনাদের জন্য জেলিফিশের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং জেলিফিশের অসাধারন কিছু ছবি দিয়েই দি ঢাকা টাইমসের এই প্রতিবেদন সাজানো হয়েছে।
জেলিফিশ সম্পর্কে আমাদের বাংলাদেশী মানুষদের ধারণা খুব একটা নেই বললেই চলে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক অঞ্চলে জেলিফিশ খুব একটা দেখা যায়না গেলেও ঘোলা পানির কারণে সঠিক ভাবে এর রূপ নিরুপন করা সম্ভব হয়না।
জেলিফিশ একটি সামুদ্রিক প্রাণী এটি অমেরুদণ্ডী এবং এই প্রাণী পৃথিবীর সব মহাসাগরেই দেখা যায়। ৫ হাজার কোটি বছর আগে থেকে এই প্রাণীর অস্তিত্ত সাগরে পাওয়া গেছে। এই প্রাণীর শরীরে কোন হাড় নেই এটি তার জেলির মত শরীর দিয়ে উপরে নিচে সমুদ্রের জলে সাঁতার কাটে।
পৃথিবীতে বেশ কয়েক প্রজাতির জেলিফিস রয়েছে, এসব জেলিফিসের মাঝে প্রজাতি ভেদে এদের জীবনকাল বিভিন্ন হয়ে থাকে। এরা এদের ক্ষুদ্র জীবনকালেই প্রজনন এবং বংশবিস্তার করে থাকে।
জেলিফিশ প্রজাতির মাঝে বেশ কিছু প্রজাতি বিষাক্ত বলে বিবেচিত, সব সময় বিভিন্ন দেশের উপকূল এলাকাতে জেলিফিশের কামরে বিষক্রিয়ার শিকার হয়ে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
এবার চলুন দেখে নেয়াযাক ছবির মাধ্যমে জেলিফিশের বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাকঃ
১) জেলিফিশের কোন মলদ্বার নেই এবার মুখদিয়ে খায় মুখ দিয়েই মল ত্যাগ করে।
২) জেলিফিশ মানুষ হত্যা করতে পারে, অনেক জেলিফিসে রয়েছে ভয়ংকর প্রান ঘাতী বিষ!
৩) জেলিফিশ পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে সক্ষম।
৪) প্রতিকুল পরিবেশে জেলিফিশের টিকে থাকার ক্ষমতা অনেক বেশি।
৫) জেলিফিশ নিজের শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে পারে।
৬) এরা ঘূর্ণনের মাধ্যমে চলতে সক্ষম।
৭) জেলিফিশ নিজের শরীর থেকে উজ্জ্বল আলোর বিচ্ছুরণ করতে পারে।
৮) পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রাচীন প্রাণীদের মাঝে জেলিফিশ একটি, এরা প্রায় ৫ হাজার কোটি বছর আগে থেকে পৃথিবীতে রয়েছে।