দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিএনপি নেতৃত্বাধীন টানা অবরোধ শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি থেকে। আন্দোলনের এই শেষ পর্যায়ে রয়েছে ১৮ দল। কিন্তু একেবারেই নিরুত্তাপ মনে হচ্ছে। কারণ গতকাল বা আজকেও তেমন কোন পিকেটিং হয়নি রাস্তায়।
গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লাগাতার এ অবরোধে রাজধানীর রাজপথ ছিল একেবারেই পিকেটারশূন্য। কোনো নেতাকর্মী মাঠে নামেননি। নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় এলাকাও ছিল একেবারে ফাঁকা। পুলিশ আর গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া সেখানে কোনো দলীয় কর্মীকে চোখে পড়েনি। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের অবস্থাও তাই। খালেদা জিয়ার বাসভবন কেন্দ্রীক উত্তেজনা ছিল শুধুমাত্র মিডিয়ায়। কোন নেতা-কর্মীকে সেদিকে দেখা যায়নি। হয়তো পুলিশ সেখানে যেতে দেবে না কিন্তু যাওয়ার চেষ্টা করবে না তা কি করে হয়। এতো বড় বিশাল দল বিএনপি। অথচ তাদের নেতা-কর্মী নেই? তারা তাদের নেত্রীকে বাইরে যেতে দিলো না সেদৃশ্য শুধু টিভিতে বসে বসে দেখলো!
এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা শুধু এসেছেন। প্রথম দিন ব্রিটিশ হাইকমিশনার এর পর আসেন আমেরিয়ার ড্যান মজিনা। বৈঠক করেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে। কিন্তু দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সেখানেও ছিল না। যদিও কয়েকজন নেতা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু কর্মীরা চেষ্টা করতে পারতেন খালেদা জিয়ার বাসভবনের কাছাকাছি যেতে তা করেননি। আবার মার্চ ফর ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামেও এমন ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীতে ব্যরিকেড দেওয়া হয়েছে। গাড়ি বন্ধ রাখা হয়েছে দূরপাল্লার। কিন্তু ঢাকার আশপাশে থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল করে ঢাকা অভিমুখে আসতে পারতেন। কেও আসেননি। হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতেও গাড়ি বন্ধ ছিল। কিন্তু আশে-পাশের জেলা থেকে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন মিছিল নিয়ে। পুলিশী বাধায় প্রথমে ঢুকতে পারেননি। কিন্তু এসেছিলেন। বিএনপির কর্মসূচিতে সেটি দেখা যায়নি।
নেতা-কর্মীরা মাঠে না থাকলে আন্দোলন কিভাবে চাঙ্গা হবে আর কিভাবে সেটি সফল হবে। গাড়ি ভাংচুর ও সহিংস কর্মকাণ্ড ছাড়াও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা সম্ভব যা আমরা অতীতে দেখেছি।