দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাজধানীর দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলে শুক্রবার ভোরে দুই কিশোর কিশোরী এক সাথে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহনন করার চেষ্টা করে, এই ঘটনায় কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে বেশ রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শুক্রবার খুব ভোরে দুই কিশোর কিশোরী আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে হাতিরঝিলের পানিতে ঝাঁপ দেয়, এতে উপস্থিত গার্ডরা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও, ছেলেটি দ্রুত পানিতে তলিয়ে যায়, পরবর্তীতে ডুবুরি সাহায্যে ছেলেটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া মেয়েটিকে জেরা করা হলে সে জানায় তার নাম মীম, তারা দুইজন একে অপরকে ভালবাসে, ছেলেটির নাম, এহসানুল হক তন্ময় সে ১৬ বছর বয়স্ক। ছেলেটি নিউ ইস্কাটন রোডে নিজ পরিবারের সাথে থাকতো, অপর দিকে মেয়েটি পরীবাগ এলাকায় বসবাস করে, তাঁরা দুইজনেই একই স্কুলে পড়ালেখা করে, সেই সূত্রে দুই জনের মনের আদান প্রদান ঘটে।
এদিকে মিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির ছয় মাস আগে মৌচাকের এক ব্যবসায়ীর সাথে বিয়ে হয়। তবে মেয়েটি এবং ছেলেটি একে অপরকে ভালো বাসে এবং তাদের এই ভালোবাসা পরিবার মেনে নিতে রাজি না থাকাতেই দুই জনেই আত্মহননের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুই পরিবারের সূত্রে জানা যায় তাঁরা দুইজনেই বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় এবং তাদের বিভিন্ন ভাবে খোঁজ করেও সন্ধান পায়নি পরিবার। মিমের পরিবার মেয়ের হারিয়ে যাওয়ায় শাহাবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। তবে সকাল হতেই তাঁরা এই দুর্ঘটনার সংবাদ পান।
পানিতে ডুবে নিহত এহসানুল হক তন্ময়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মীমের বরাত দিয়ে পুলিশ ও স্বজনরা জানান, মীমের পরিবারের সব সিদ্ধান্তের কথাই জানতো তন্ময়। একপর্যায়ে আগামী ১০ জানুয়ারি মীমের বিয়ের দিন ধার্য্য হয়। এটা শোনার পর পাগলের মতো হয়ে যায় তন্ময়। মীমও বুঝতে পারে তার পরিবার কখনও তাদের এ সম্পর্ক মেনে নেবে না। পরে তারা দুজনে একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। মিমের পরিবার অবশ্য এ বিয়ে বা এ ধরনের ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে। টিভিগুলোতে গতকালই এসব তথ্য প্রচার করে। আর তাই এই মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের পর প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।