দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপাতত এরশাদ নাটকের যবনিকা ঘটেছে। তিনি সুস্থ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হয়ে গতসন্ধ্যায় বাসায় ফিরেছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর এরশাদকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচ এ ভর্তি করা হয়। যদিও সেই ভর্তি নিয়ে রয়েছে নানা নাটকের কাহিনী যা সকলেরই জানা। তবুও তিনি শেষ পর্যন্ত শপথ নিয়েছেন সংসদ সদস্য হিসেবে এবং গতকাল তিনি বঙ্গভবনেও গিয়েছিলেন স্বস্ত্রীক অর্থাৎ রওশন এরশাদের সাথেই। পাশাপাশি তাঁদের দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর পাশেই বসেছিলেন রওশন এরশাদ। তার পাশেই ছিলেন এরশাদ। যদিও তিনি বেশ বিমর্ষ ছিলেন। তবে স্বাভাবিক। দেখে বোঝা গেলো সুস্থ্যই আছেন তিনি। এরপর বঙ্গভবন থেকে তিনি যান সিএমএইচ এ। তারপর সন্ধ্যায় তিনি বারিধারার নিজ বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্কে ফেরেন। তবে এ সময় ওত পেতে থাকা সাংবাদিকরা তার কোন বক্তব্য পাননি। কারণ সে সুযোগ দেয়া হয়নি। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই সিকিউরিটির সহযোগিতায় সোজা লিফটে ঢোকেন।
রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৩-৭৬৬৫ নম্বরের গাড়িতে করে রাজধানীর বারিধারায় তার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে ফেরেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ. এম. এরশাদ।
বর্তমান আওয়ামীলীগের গত সরকারের মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া পর একই দিন হঠাৎ করে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। নির্বাচনে যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে একের পর এক নানা নাটকীয়তার জন্ম দিতে থাকেন দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতায় থাকা সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
জাপার নেতাকর্মীরা অবশ্য ‘সিএমএইচে আটক’ আছেন এমন দাবি করে এরশাদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগায়। রাজধানীতে বিক্ষোভ করতে গেলে জাপার নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গও করে দেয় পুলিশ।
সিএমএইচে থেকেই রংপুর-৩ আসন থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এইচ. এম. এরশাদ। টানা এক মাস সেখানে অবস্থানের পর সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী শপথ নেয়ার শেষ দিন অর্থাৎ গত শনিবার সংসদে গিয়ে স্পিকারের কক্ষে শপথ নেন এরশাদ। তবে সবার ধারণা ছিল শপথ নিয়েই হয়তো তিনি বাসায় ফিরবেন। কিন্তু না, তিনি আবারও সিএমএইচ এ ফিরে যান। সেখানেই ছিলেন এ ক’দিনও।
নতুন সরকার গঠনের পর এরশাদকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত নিয়োগ দেয়া হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এরশাদকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত করা হয়েছে।
এখন এরশাদ সুস্থ্য এবং বারিধারার তাঁর নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কবে কখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন এবং কি জবাব দেবেন সেটি শোনার জন্য জাতি অপেক্ষা করছে।