দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশিষ্ট ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমদকে টাকার জন্যই খুন করা হয় বলে গ্রেফতার হওয়া তার গাড়ির চালক পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
প্রকাশ থাকে যে, আফতাব আহমদকে খুন করা হয় টাকার লোভে। আর এই খুনের নেতৃত্বে ছিলেন তারই গাড়ি চালক হুমায়ুন কবীর। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বাসায় বেশ কিছু টাকা এনে রাখেন আফতাব আহমদ। বিষয়টি জানত চালক হুমায়ুন। অসুস্থ মনিবকে খুন করে এই টাকা মেরে দেয়ার পরিকল্পনা করে হুমায়ুন এবং পরিকল্পনা অনুসারে ২৪ ডিসেম্বর রাতে হুমায়ুনসহ ৫ জন শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দেশের স্বনামধন্য এই ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমদকে। মোট ৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সংবাদ মাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতনে হুমায়ুন কবীরকে চালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সাংবাদিক আফতাব আহমদ হত্যাকাণ্ডে তার একমাত্র ছেলে মনওয়ার আহমেদ সাগর বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছে ৪ খুনি। পলাতক অপর খুনিকে গ্রেফতারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এদিকে গতকাল রবিবার র্যাব চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মামলার তদন্ত ভার র্যাবের কাছে ন্যস্ত করা হয়েছে।
এদিকে এই নির্মম খুনের ঘটনায় দেশের সাংবাদিক সমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মানব বন্ধনসহ দেশব্যাপী পালিত হয় নানা কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, রামপুরা ওয়াপদা রোডে নিজ বাস ভবনে ২৪ ডিসেম্বর রাতে একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ খুন হন। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।