দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের রাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর নেমে এসেছে এক অশুভ চক্রের থাবা। আজ সংখ্যালঘুরা নিজ গৃহেও পরবাসী দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন!
যশোরের মালোপাড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে শুরু হয় এই হামলা। হামলার শিকার এসব এলাকার মানুষ এখন নিজ গৃহেও পরবাসী জীবন-যাপন করছেন। রাতে কেও ঘরে বসবাস করতে পারছে না। অন্যত্র পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে নিজ ঘর-বাড়ি ছেড়ে। কেনো এমন পরিস্থিতি হবে তাদের? নিজগৃহে কেনো আজ তাদের পরবাসী জীবন-যাপন করতে হবে।
হিন্দু সমপ্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলা এদেশের বিবেকবান মানুষ মেনে নেয়নি। বিভিন্ন স্থানে এর কড়া প্রতিবাদ করা হচ্ছে। মানব বন্ধনসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ইতিমধ্যেই মালোপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী সমর্থকরা।
আমাদের সকলের উচিত ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের আশ্বস্থ করা। যাতে তারা ভীত সন্ত্রস্ত্র না হন। সামপ্রদায়িক সমিপ্রতি আমাদের দেশে আজ নতুন নয়। যুগ যুগ ধরে আমরা দেখে আসছি এদেশে হিন্দু, খিস্টান, বৌদ্ধ, মুসলিম সবার সহবস্থান। কারো ধর্ম পালনে কেও কখনও বাধা সৃষ্টি করেনা। আমরা সবাই এদেশের নাগরিক। আমাদের সম-অধিকার। কিন্তু সামপ্রতিক সময়ে ‘অশুভ’ একটি রাজনৈতিক চক্র এদেশের শত বছরের বাঙালি ঐতিহ্যকে ভুলুণ্ঠিত করছে। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
আজ আমাদের সকলের জন্য অতীব জরুরি করণীয় হয় দাঁড়িয়েছে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানো। তাদেরকে বোঝাতে হবে কতিপয় ব্যক্তির স্বার্থ হাসিলের সঙ্গে এদেশের অতীত ঐতিহ্য আমরা নষ্ট হতে দেবো না। আমরা সব সময় তাদের পাশে ছিলাম এবং আছি। আসুন আমরা সবাই তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সুখ-দু:খের সাথি হই।