দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যাপক সহিংসতার মধ্যদিয়ে গতকাল ৮১ উপজেলার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। হামলা ও সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে। সর্বশেষ সংবাদে আওয়ামীলীগ এগিয়ে রয়েছে।
নির্বাচন এলে মানুষের মধ্যে এক উৎসব লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু গতকাল তৃতীয় দফার নির্বাচনে বেশ কিছু উপজেলায় ভোটকেন্দ্র দখলের উৎসব চলেছে। পাশাপাশি প্রিসাইডিং অফিসারদের আটকে রাখা, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা, সশস্ত্র মহড়া, ককটেলবাজি, এমনকি গুলিবর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটেছে গতকালকের নির্বাচনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় অনেক ভোট কেন্দ্র। সংঘর্ষের কারণে পুরোপুরিভাবে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে ২৬ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের সময় এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল মহড়া দেওয়ার সময় নিহত হয়েছে ৩ জন। আগামী ২৩ মার্চের চতুর্থ দফা নির্বাচন নিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে অপর একজন নিহত হয়েছে ।
সংবাদ মাধ্যম সূত্র বলেছে, শুধু ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরাই নয়, এবার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটের সমর্থকরাও ভোটকেন্দ্র দখলের উৎসবে মেতে ওঠে। বিশেষ করে কয়েকটি উপজেলায় জামায়াত সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে বেশি।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ের ক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। সর্বশেষ খবর অনুসারে ৭৮টি উপজেলার মধ্যে ৪০টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ২৭টি উপজেলায় ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ৮ উপজেলায় এবং ৩টি আসনে অন্যান্য প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ মার্চ উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ দফা এবং ৩১ মার্চ সর্বশেষ পঞ্চম দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।