দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি খুশি হতে পারেননি।
নতুন সরকার গঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত নিয়োগ দেওয়া হয়। এরশাদও এর জবাবে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তাঁকে বিশেষ দূত নিয়োগের জন্য। কিন্তু বিষয়টি সেখানেই থেমে থাকেনি। এই বিষয়টি জাতীয় পার্টির তৃণমূল পর্যায়ে চলে আসে। তাছাড়া নির্বাচনে যারা এরশাদের কারণে বঞ্ছিত হয়েছেন তারাও বিষয়টিকে ভালো ভাবে নিতে পারেন নি।
এরশাদের বিশেষ দূত নিয়োগের পরে এই বিষয়টি আরও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। প্রথমে আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখলেও এরশাদের বিশেষ দূত হওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের কাছে। সবাই বুঝতে পারেন যত কাহিনী হয়েছে এর সঙ্গে এরশাদের যোগসূত্র রয়েছে। সিএমএইচে ভর্তি ও তার পরবর্তী সকল বিষয়ই জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা এখন প্রায় নিশ্চিত। তারা বুঝতে পেরেছেন সরকার যেমন এরশাদকে ছাড়েননি আবার এরশাদও সরকারকে ছাড়েনি।
এখন এরশাদ বিশেষ দূত হওয়ার পরেও খুশি হতে পারেন নি। এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে। জাতীয় পার্টির যতগুলো মন্ত্রীত্ব থাকার কথা ততগুলো আসেনি। জাতীয় পার্টি আরও অন্তত ৩টি মন্ত্রীত্ব চান। এসব বিষয়গুলো গত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। যদিও এরশাদ আনুষ্ঠানিকভাবে তেমন কিছুই এখনও বলেননি।
মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হলেও এরশাদ চান তার চাওয়া পদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হোক। অন্তত স্পিকারের সমমর্যাদা চান সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। এমন আশা থেকেই তিনি বেশ অখুশি হয়েছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ।
আবার এরশাদের এই বিষয়গুলোকে রওশন এরশাদও নাকি সমর্থন করেন। তিনিও চান এরশাদের মর্যাদা আরও বাড়ুক। তিনি চান দলের আরও কিছু ব্যক্তি মন্ত্রীত্ব পাক। এমন এক অবস্থার মধ্যে চলছে গত কয়েকদিন। রওশনের কাছেই মূলত ধরনা দিচ্ছেন অনেকেই। অপরদিকে বঞ্ছিতরা ধরনা দিচ্ছেন এরশাদের কাছে। অনেক অভিযোগ-অনুযোগ তাদের রয়েছে।
বিষয়গুলো এখনও যদিও পরিষ্কার নয়। তবে শীঘ্রই এ বিষয়ে পরিষ্কার বোঝা যাবে। কারণ সাংবাদিকদের মুখোমুখি এরশাদ এখনও হননি। বঙ্গভবন থেকে প্রথমে সিএমএইচে ও পরে নিজ বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্কে যখন ফেরেন তখন এরশাদকে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরলেও তিনি কিছুই বলেননি। তবে আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই এরশাদের কিছু বক্তব্য পাওয়া যাবে। এখন সবাই সে অপেক্ষায় রয়েছেন।