দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগ্নেয়গিরি বললেই যেখানে মানুষের হৃদয় শুকিয়ে যায় সেখানে জীবন্ত আগ্নেয়গিরির খুব কাছেই বসবাস করছে জাপানের প্রায় ২ শতাধিক মানুষ!
ফিলিপাইন সাগরে জাপানের দ্বীপ Aogashima একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। এই দ্বীপটি টোকিও শহরের আওতায় রয়েছে। ২০০৯ সালের জরিপ অনুযায়ী প্রায় ৯ কিলোমিটার লম্বা এলাকার এই দ্বীপ এর জনসংখ্যা প্রায় ২০০ জন। এরা সবাই এখানে স্থানীয়।
যেহেতু Aogashima একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি তাই এখানে বসবাস করা অনেকটা নিজের প্রান হাতে নিয়েই বসবাস করা। প্রতিটা দিন এখানকার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে আসছে। একটু অসতর্কতা নিয়ে আসতে পারে ভয়ংকর পরিণাম। কিন্তু শত ভয় থাকলেও এখানকার জনগণ এখানে বসবাস করতেই ভালোবাসেন।
Aogashima দ্বীপের আগ্নেয়গিরিটি ক্লাস সি ধরণের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। এই আগ্নেয়গিরি এর আগে ১৭৮০ সালে একবার অগ্নুৎপাত করেছিল সেবার এখানে থাকা প্রায় অর্ধেক মানুষ জীবন্ত পুড়ে মারা গিয়েছিল। ধ্বংস করে দিয়েছিল স্থানীয় সকল বাড়িঘর। ঐ অগ্নুৎপাতের পরে এই দ্বীপ স্বাভাবিক হতে আরও ৫০ বছর সময় নেয়। এর পরে আবার এখানে কিছু মানুষ এসে বসতি গড়ে!
এই দ্বীপের সাথে জাপানের যোগাযোগের কোন সড়ক সংযোগ নেই। এখানে আসতে যেতে নৌ পথ ব্যাবহার করতে হয় তবে হেলিকাপ্টারে জাতায়েত ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
এই দ্বীপে সন্তানরা যখন একটু বড় হয় তখন তারা টোকিও চলে যায় কিংবা অন্য কোথাও শিক্ষার জন্য। তবে তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আবার দ্বীপে ফিরে আসে। নিজেদের মেধা মনন কাজে লাগায় দ্বীপের কল্যাণে।
সত্যি দ্বীপটি যেমন ভয়ংকর প্রাকৃতিক শক্তি ঠিক এটি এখানকার মানুষদের আশ্রয়স্থলও। আর এই দ্বীপের মানুষরা দ্বীপটিকে ভালবেসে আপন করে নিয়েছে নিজেদের মত করেই।
গুগল ম্যাপ এ দ্বীপটি দেখুন
View Larger Map
সূত্রঃ Viralnova