দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ Mick Dodg আজ থেকে ২৫ বছর আগেই সভ্য সমাজ ছেড়ে চলে যান জঙ্গল। সেখানেই তিনি সভ্যতার বাইরে থেকেই স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন।
২৫ বছর আগে Mick Dodg সিদ্ধান্ত নেন তিনি আধুনিক মানুষের ভিড়ে থাকবেননা, চলে যাবেন জঙ্গলে। যেই চিন্তা সেই কাজ, খুলে রাখলেন নিজের জুতা এবং বেড়িয়ে পড়লেন জঙ্গলের উদ্দেশ্যে। তিনি Hoh রেইন ফরেস্টে দীর্ঘ ২৫ বছর অবস্থান করছেন। এই দীর্ঘ সময়ে Mick Dodg পায়ে কোন স্যান্ডেল ছিলনা, তিনি থাকেন গাছে কিংবা মাটিতে। দাড়ি গোঁফ কাটেননি এবং দাঁত মাজেননি।
Mick Dodg কে নিয়ে সম্প্রতি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল তৈরি করেছেন বিশেষ রিয়্যালিটি শো “The Legend of Mick Dodge,” এখন তিনি রাতারাতি সারাবিশ্ব ব্যপি পরিচিত এক মুখ।
তবে জীবনের শুরুর দিন গুলোতে Mick Dodg অবশ্য জঙ্গলে থাকার বিষয়ে ভাবেননি। তিনি স্কুলে পড়া শুনা করেছেন। পড়ালেখা শেষে তিনি হেভি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি সমাজের নানান সচেতনতা মূলক কাজও করেছিলেন সে সময়ে। তবে হঠাৎ তাঁর মনে হয় আধুনিক সমাজে থাকাটা অমূলক। এখানে নানান সমস্যা। তাঁর ভাষায় “আমি পায়ে জুতো পড়ে হাঁটলে আমার পায়ে ব্যথা হত। আমি কাজ করলে আমার কোমরে ব্যথা হত। আমার মানসিক অশান্তি ছিল। তবে জঙ্গলে যখন আমি আসলাম তখন আমার সকল ব্যথা দূর হয়ে গেল। আমি সুস্থ হয়ে গেলাম। মনের ব্যথাও নেই আর। জঙ্গলেই আমি স্থায়ী হয়ে গেলাম। Hoh রেইন ফরেস্ট এখন আমার বিশাল বাড়ি।
জংগলে থাকার সময় যখন শীত বা গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা আসে তখন কোন সমস্যা হয়না আপনার? এমন প্রশ্নের জবাবে Mick Dodg বলেন,”এখানে কোন সমস্যা নেই, প্রতিটি সময় আমি উপভোগ করছি। এখানে সব সময় অ্যাডভেঞ্চারে আমার সময় কাটে। আমি জঙ্গল থেকে যা পাই তাই খাই। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক আমার জীবন।
জঙ্গল অসুখ করলে কি করেন? এমন প্রশ্ন করা হলে Mick Dodg বলেন, এখানে প্রাকৃতিক চিকিৎসা রয়েছে প্রকৃতি আমাদের সব কিছুই দিয়েছে। হাজার রকমের প্রাকৃতিক গাছ আছে যা বিভিন্ন রোগের কাজে দেয়। রয়েছে অসংখ্য উপকারী মাশরুম, স্বচ্ছ জীবাণু হীন গ্লাসিয়ার পানি।
Mick Dodg জীবনকে একটা খেলার সাথে তুলনা করেন, তিনি বলেন সব মানুষের জীবন একটা খেলা এখানে কে কিভাবে এই খেলা খেলছে কিংবা উপভোগ করছে তাঁর উপর নির্ভর করে তাঁর অবস্থান। আমি জঙ্গলেই সুখে আছি এখানেই বাকি জীবনও কাটিয়ে দেব।
ভিডিও
সূত্রঃ Peninsuladailynews, Mnn