দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইঁদুরের বসবাস এবার শুরু হলো বিমানে। শেষ পর্যন্ত সেই ইঁদুর নিধন অভিযানে বিমানের ফ্লাইট বিলম্ব হলো ৬ ঘণ্টা।
আসলে মানুষ যেমন এক স্থানে থাকতে গিয়ে এক ঘেয়েমিতে ভোগেন ঠিক তেমনি। ইঁদুরও বাড়ি-ঘরে থাকতে থাকতে যেনো হাপিয়ে ওঠেছিল। তাই এবার মাটি ছেড়ে হাওয়ায় পাড়ি দেওয়ার সাধ জাগে এক ইঁদুরের। হাঁটতে হাঁটতে একেবারে পৌঁছে যায় স্পেনের অ্যাডোলফ সুয়ারেজ বারাজাস বিমানবন্দরে। এরপর নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে যথারিত ঢুকেও পড়ে বিমানে। এবার বিমানটা ঘুরে দেখতে থাকে। কোনো এক সময় পা বাড়ায় করিডোরে। আর যায় কোথায়, তখনি ঘটে এক বিপত্তি।
ঠিক সেই সময় কাতারের দোহাগামী বিমানটির যাত্রীরা বিমানে উঠছিলেন। আর করিডোরে পা রাখতেই ইঁদুরটাকে দেখেই চিৎকার শুরু করে দেয় যাত্রীরা। এমন বিভৎস চিৎকার শুনে ভয়-আতঙ্কে ছুঁটোছুটি করতে থাকে ইঁদুরটি। কোথায় লুকাবে বুঝে উঠতে পারে না ওই ইঁদুরটি। আর ওইদিকেতো পুরো বিমানবন্দর যেনো মাথায় তুলে নেয় যাত্রীরা। যাত্রীদের এক কথা- এ কেমন বিমান? যেখানে ইঁদুর থাকে? কেমন নোংরা! ইত্যাদি..।
এমন অপবাদ সইতে না পেরে ইঁদুর দূর করতে বিমানের কর্মচারীরা ইঁদুর দমন অভিযানে নামলো। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে হণ্যে হয়ে খুঁজতে শুরু কররো ইঁদুরটিকে। কিন্তু কোথাও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না ইঁদুরটির। তারপর অন্য পদ্ধতির কথা চিন্তা করে সিকিউরিটি বিভাগের লোকজন। পুরো বিমানে ধোঁয়া ছড়িয়ে দেওয়া হয়- যাতে ইঁদুরটি আপনা-আপনি বের হয়ে আসে।
ধোঁয়ায় অবস্থা খারাপ হয়ে যায় ইঁদুরটির। শেষ পর্যন্ত শ্বাস কষ্টে মারা যায় ইঁদুরটি। কয়েক ঘণ্টা ধোঁয়াময় থাকার পর আবার ইঁদুরের সন্ধান শুরু করে কর্মচারীরা। তাদের অভিযান এবার সফল হয়। ইঁদুরটিকে তারা পেয়ে যান। তবে জীবিত নয়, মৃত। লেজ ধরে বের করে আনা হলো ইঁদুরটিকে। এবার বিমান আকাশে উড়ার জন্য প্রস্তত বলে সিগন্যাল দেওয়া হয়। ইঁদুর অভিযাবেনর কারণে অন্যকিছু না ঘটলেও প্রায় ৬ ঘণ্টা বিলম্ব হয় বিমানের গন্তব্যে যাওয়া।