দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ থাইল্যান্ড থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশীদের ১১৮ জনকে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যদিও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এদের ফিরিয়ে আনতে থাই সরকারের কাছে কনস্যুলার-সুবিধা চেয়েছে।
থাইল্যান্ডের জঙ্গল থেকে গত এক সপ্তাহে ১৩০ বাংলাদেশীকে উদ্ধার করা হয়। এবার থাইল্যান্ডের একটি জঙ্গলে ক্রীতদাস হিসেবে আটক ছিল। এদের মধ্যে উদ্ধার হওয়া ১১৮ বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে আনার জন্য থাই সরকারের কাছে কনস্যুলার- সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। জানা গেছে, এদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব এম মুস্তাফা কামাল গতকাল রবিবার তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দিয়েছেন।
থাইল্যান্ডের জঙ্গল হতে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশীদের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরা ‘মানব পাচারের শিকার’। এ বছর বাংলাদেশের ৭৪০ জন লোক থাইল্যান্ডে অনুপ্রবেশ করেছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, থাই কর্তৃপক্ষ সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসকে অবহিত করেছে। প্রথম দফায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চল হতে উদ্ধার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৩৮ জন বাংলাদেশী এবং ১৫ জন মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে দাবি করেছেন। থাইল্যান্ডের বিভিন্ন আটক কেন্দ্রে থাকা এসব লোকজনের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় দফার ৮১ জনের মধ্যে ৮০ জন বাংলাদেশী এবং অন্যজন মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে দাবি করেছেন। এদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ কনস্যুলার-সুবিধা চেয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে থাই কর্তৃপক্ষের সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব এম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের লোকজনকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। অতীতে এ ব্যাপারে কোনো সমস্যা হয়নি। এখনও কোনো সমস্যা হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের গহিন জঙ্গল হতে উদ্ধার হওয়া এসব বাংলাদেশীরা সবাই পাচারের শিকার। উন্নত চাকরির লোভ দেখিয়ে তাদের ওষুধ খাইয়ে এবং হাত-পা বেঁধে নৌকায় করে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের বিক্রি করে দেওয়া হয়। জঙ্গলে তাদের ক্রীতদাসের মতো খামার ও মাছ ধরার কাজে অমানবিক ব্যবহার করা হচ্ছিল।