দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাঝে মাঝে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকার পরও বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টাগুলো পরিকল্পনা অনুসারে যায় না। কিংবা মাঝে মাঝে একটি মাটির গর্ত খুলে দেয় অন্তরালে থাকা নরকের দরজা।
তুর্কেমেনিস্থানের দিওয়াজ গ্রামের একটি অংশকে বলা যায় সত্যিকার অর্থে নরকের দরজা। কারণ এই দিওয়াজ গ্রামের নিকটে মরুভূমির মাঝখানে ২৩০ ফুট চওড়া একটি অগ্নি জ্বালামুখ রয়েছে। যা প্রকৃত পক্ষে ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাস নির্গমনের জন্য প্রাকৃতিক চাপেই তৈরি হওয়া একটি জ্বালামুখ। এই জ্বালামুখ সৃষ্টির পেছনে অবশ্য মানুষের আংশিক হাত রয়েছে।
আজ থেকে ৪০ বছর আগে ১৯৭১ সালে সাবেক সোভিয়েত বিজ্ঞানীরা প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য এখানে ড্রিলিং শুরু করেছিল। কিন্তু ড্রিলমেশিনের রিগগুলো ধসে পড়ে ফলে আশংকাজনক হারে মিথেন গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। গবেষকরা মনে করেছিলেন এটি কয়েক ঘন্টা জ্বলে থেমে যাবে, কিন্তু ৪০ বছর ধরে এটি এখনো জ্বলছে।
প্রতিবছর অনেক পর্যটক আসে এটি দেখার জন্য, ২০১০ সালে তুর্কমেনিস্থানের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন গর্তটি ভরাট করে ফেলবেন। কিন্তু এটি করতে গেলে আন্তর্জাতিক গ্যাস পাইপলাইন ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে বলে ঘোষণাটি আর কার্যকর হয়নি। তুর্কমেনিস্থান প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে।
ভিডিও
নিচে স্থানটির আরো কিছু ছবি দেওয়া হল, যার মধ্যে কিছু আছে আতংক ধরিয়ে দেওয়ার মতো, কোনটি আবার অগ্নিশিখাময় দেখে মনে হবে পৃথিবীতে নরকের দরজা।
তুর্কেমেনিস্থানের দিওয়াজ গ্রামের এই নরকের দরজা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছে প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাব কতটা ভয়ংকর এবং প্রকৃতি যদি চায় আমাদের মানব সভ্যতা নিমিষেই বিলীন করে দিতে পারে তার ভয়ংকর শক্তি দিয়ে।
সুত্রঃ Huffingtonpost