দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রতন’ এর শুটিং, ডাবিংসহ পুরো কাজ সম্পন্ন হয়েছে এখন শুধুই মুক্তির প্রতিক্ষা।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল-এর ছোট গল্প ‘রতন’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রতন’। ২৮ মিঃ দৈর্ঘ্যের এই চলচ্চিত্রটি ইতোমধ্যেই সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্রও লাভ করেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত চলচ্চিত্রটি খুব শিগগিরই একটি চ্যানেলে প্রিমিয়ার শো হিসেবে প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডটস এন্ড মার্কস প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আশফাক আহমেদ এর প্রযোজনায় নির্মিত এ স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনী লিখেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন এন.এস. বুলবুল বিশ্বাস। চলচ্চিত্রটিতে সংঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বিপ্লব বড়ুয়া। অভিনয় করেছেন-রাসেল, রাশেদ মামুন অপু, রাজু খান, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, মুন্নি তালুকদার, বিথী প্রমুখ।
১৯৭১ সালে সারাদেশে পাকহানাদার বাহিনীর হত্যা, লুন্ঠণ, ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে সেগুলো রয়েছে ‘রতন’ এর কাহিনীতে। এতে বাদ যায়নি তাতিবন্ধ গ্রামও। মুক্তিযুদ্ধের সময় এক রাতে হানাদার বাহিনীর করাল থাবা পড়েছিল তাঁতিবন্ধ গ্রামের উপর। পরেরদিন সকালে যখন দুজন মুক্তিযোদ্ধা আতা এবং লতিফ ওই গ্রামে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে যান, তখন তারা ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে কুড়িয়ে পান রতন নামে একটি ছেলেকে। ১০ বছরের বালক রতনের সামনেই ওই রাতে খুন হয়েছেন তার বাবা, লাঞ্ছিত হয়েছেন তার মা। এই রতনকে যখন আতা মুক্তি বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় তখন মজু কমান্ডার ব্যাপারটা সহজভাবে নিতে পারেননি। কারণ নিজেদেরই থাকা খাওয়ার যেখানে কোন নিশ্চয়তা নেই- সেখানে এই ১০ বছরের বালককে নিয়ে কি করবে। কিন্ত মজু কমান্ডার পাক বাহিনীর হাতে ধরা পরার পর গেরিলা যুদ্ধে ওই এলাকার বাঙালি মুক্তিবাহিনী যখন পরাজয়ের প্রায় দ্বারপ্রান্তে- ঠিক তখন ১০ বছরের বালক রতন-ই নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো। ওই যুদ্ধে তখন জয় হলো মুক্তিবাহিনীর, জয় হয় পুরো বাঙালির।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্ব। ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পোঁছে দিতে হলে এমন চলচ্চিত্র তৈরি করার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন চলচ্চিত্রটি নির্মাণাতা এই ছবির প্রযোজনা সংশ্লিষ্টরা।