দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শরীর ও মনও ভালো থাকে না। তাই সঠিক ওজন ও সুস্থ্য জীবন-যাপন ও নিজেকে সুন্দর রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।
অনেকেই আছেন দিনে দিনে মোটা হয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই পাতলা হয়ে যাচ্ছেন এমন সমস্যাও রয়েছে। কিন্তু এমন সব সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে কি কি করণীয় তা জানা নেই সবার। আর তাই আজ এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য আলোচনা করা হলো। আশা করি এই বিষয়গুলো মেন চললে সুস্থ্য-সুন্দর জীবন-যাপন করা যাবে। আসুন বিষয়গুলো যেনে নেওয়া যাক।
যাদের ওজন বেশি তাদের জন্য করণীয়::
# বেশি পরিমাণ ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অন্তত এক বেলা রুটি খান।
# ক্র্যাশড ডাইটিং অর্থাৎ হঠাৎ রোগা হওয়ার জন্য একেবারে খাওয়ার বন্ধের উপক্রম একদম বর্জনীয়। এতে ত্বক কুচকে যায়। চোখের নীচে কালি পড়ে এবং মুখে একটা অসুস্থ ভাব ফুটে ওঠে।
# বারে বারে অল্প পরিমাণে খাবার খান। সেটা হতে পারে ফল, সালাদ, রুটি ইত্যাদি।
# রান্নায় আপনার জন্য ৩ চা চামচ তেলই যথেষ্ট।
# এক জালের দুধ (এক বলকের দুধ) প্রতিদিন এক গ্লাস করে পান করুন। দুধের পরিবর্তে দই বা ছানা খাওয়া যেতে পারে।
# ডিমের সাদা অংশ খান। চুল এবং ফিগারের জন্য এটি খুবই ভালো। চুল এবং ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত ১২ গ্লাস পানি পান করুন।
# স্কিনবার্ণ বা ত্বক পোড়া থাকলে প্রতিদিন পাক পেঁপে খান।
# নিয়মিত পরিমিত ঘুমান।
# দিনে অন্ততপক্ষে দু’বাটি সবজি খাবেন।
যাদের হজম কম তাদের জন্য যা করণীয়::
# যাদের হজম কম হয়ে থাকে তাদের ওয়েট গেইনিংয়ের জন্য ডায়েট জরুরি।
# দিনে ১৫০ গ্রাম মাছ বা মাংস খেতে হবে।
# দিনে অন্তত ১টি ডিম খাবেন।
# ৫০ মিলি লিটার দুধ বা দুধ থেকে তৈরি খাবার খাবেন।
# ১০ থেকে ১৫ গ্রাম মাখন বা পনির খাবেন।
# অবসর সময় বাদাম বা কিসমিস খাবেন।
# আম সপ্ত খেতে পারেন।
# আটার সঙ্গে সোলার ছাতু এবং বাদামের গুঁড়ো মিশিয়ে রুটি বানিয়ে খেতে পারেন।
# ঠাণ্ডা ঘন দুধ দিয়ে অল্প খেজুঁর, বাদাম, গুড় আর নারকেল মিশিয়ে আধা কাপ প্রতিদিন খাবার অভ্যাস করুন।
সঠিক ওজনের ক্ষেত্রে খাদ্য তালিতায় বিশেষ হেরফের করার দরকার নেই। ব্যায়াম এবং ঘুম অবশ্যই সঠিকভাবে হতে হবে।