ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আল কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর তার মৃতদেহ শনাক্ত করেন তার ছোট মেয়ে। সে সময় তার স্ত্রীরা লাদেনকে শনাক্ত করতে অস্বীকৃতি জানান বলে জানা গেছে। গত বছর লাদেন বধে অংশ নেয়া আমেরিকান নেভি সিলের সাবেক সদস্য ছদ্মনামে ম্যাট বাইসোনেট মার্ক ওয়েন নাম দিয়ে লেখা ওই অভিযানসংক্রান্ত বই ‘নো ইজি ডে’তে এই কথা বলা হয়েছে। খবর অনলাইন পত্রিকা সূত্রের।
বইটি আগামী সপ্তাহে বাজারে আসবে। তবে বাজারে আসার আগেই পেন্টাগন বইয়ের লেখকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও লেখকের আইনজীবী জানিয়েছেন যে, বইটিতে লাদেন হত্যা বিষয়ে কোনো গোপন তথ্য ফাঁস করা হয়নি।
লাদেন হত্যা অভিযানের প্রত্যক্ষদর্শী ও নেভি সিলের সদস্য ৩৬ বছর বয়সী ম্যাট বইটিতে দাবি করেন, তিনিই দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি লাদেনের ঘরে প্রবেশ করেন। সেখানে দেখতে পান একজন পুরুষের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে এবং তাকে দুই নারী ঘিরে রেখেছেন।
পরে জানা যায়, তারা বিন লাদেনের স্ত্রী। তিনি আরো জানান, নেভি সিলের সব সদস্য লাদেনের বাড়িতে প্রবেশের আগেই গুলিতে তিনি নিহত হন। সে সময় লাদেনের পরনে ছিল একটি তামাটে বর্ণের প্যান্ট, সাদা হাতাবিহীন গেঞ্জি ও তামাটে কটি। অভিযানে প্রথমেই লাদেনকে দেখামাত্র মাথায় গুলি করা হয় বলেও বইয়ে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে নো ইজি ডে বইয়ের লেখকের বিরুদ্ধে সম্ভবত আইনি ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে পেন্টাগন। পেন্টাগন দাবি করেছে, ওই বইয়ের লেখক নেভি সিল কমান্ডো সেনাবাহিনীর গোপনীয়তা ভঙ্গ করে চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন। ম্যাট ২০০৭ সালে মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে গোপনীয়তা সংক্রান্ত দুটি ফরমে সই করেছিলেন।
পেন্টাগনের উপদেষ্টা জেন জনসন ম্যাটকে এক চিঠিতে জানান, গোপনীয়তা বিষয়ক চুক্তি লঙ্ঘন করায় ম্যাটের বিরুদ্ধে পেন্টাগন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি তারা বিবেচনা করছে।