দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিশর এয়ারলাইন্সের এক সহকারী পাইলটের নিকট হতে ৯/১১ হামলার পরিকল্পনা পেয়েছিলেন আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন।
আনন্দবাজার পত্রিকার এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিশর এয়ারলাইন্সের এক সহকারী পাইলটের নিকট ৯/১১ হামলার পরিকল্পনা পেয়েছিলেন আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন। আল-মাসরা নামে একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের ‘সেপ্টেম্বর ১১ অ্যাটাকস-দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ নামে একটি প্রবন্ধে এমন একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে আল-কায়দা।
ওই প্রবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে, লাদেন টুইন টাওয়ার বিমান নিয়ে আত্মঘাতী হামলার ব্লুপ্রিন্ট পেয়েছিলেন ১৯৯৯ ইজিপ্ট এয়ারের একটি বিমান ‘দুর্ঘটনা’ হতে। বিমানটি ২১৭ জন যাত্রী নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলস হতে কায়রো যাচ্ছিল। বিমানের সহকারী পাইলট গামিল আল-বাতৌতি সুপরিকল্পিতভাবে পুরো বিমানটিকে নিয়ে সোজা আটলান্টিক সাগরে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। সলিল সমাধি ঘটে প্রত্যেক যাত্রীর। এসব যাত্রীর মধ্যে ১০০ জন ছিলেন মার্কিন যাত্রী। এই ঘটানাটিই লাদেনকে অনুপ্রাণিত করেছিল আমেরিকায় আত্মঘাতী হামলা চালানোর ক্ষেত্রে। আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে দীর্ঘদিন ধরেই ছক কষছিলেন ওসামা বিন লাদেন। তবে কীভাবে হামলা চালানো হবে সেটার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয়ে গিয়েছিল ১৯৯৯ সালেই। আল-বাতৌতির কাজকে লাদেন ‘দুঃসাহসিক’ তকমা দিলেও, একাট জায়গাতেই তিনি অবশ্য প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ঘটনাটি যখন তাঁর কানে পৌঁছায়, তিনি তখন বলেন, সমুদ্রে কেনো, সামনের বড় কোনও বিল্ডিংয়ে গিয়ে ক্র্যাশ করাতে পারলো না বাতৌতি? ওই প্রবন্ধে আরও বলা হয়, বাতৌতির কী উদ্দেশ্য ছিল, তাতে মোটেই আগ্রহী ছিলেন না বিন লাদেন। তবে বাতৌতির ভয়ঙ্কর কৌশলকেই তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন খুব বেশি। আর এখান থেকেই টুইন টাওয়ারে বিমান নিয়ে আত্মঘাতী হামলার ছক কষেন বিন লাদেন। এই পরিকল্পনাটি নিয়ে খালেদ শেখ মহম্মদের সঙ্গেও বৈঠক করেন বিন লাদেন। তবে খালেদ আগে হতেই আরও একটি ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। ১২টি মার্কিন বিমানকে বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ক্র্যাশ করানোই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।