দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউটিউব একটি মুক্ত ভিডিও প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে পরিচিত। সারা বিশ্বব্যপি অসংখ্য মানুষ ইউটিউবে নিজেদের সংগ্রহে থাকা ভিডিও প্রকাশ করে থাকে। এসব ভিডিও মুহূর্তে ছড়িয়ে যায় চারিদিকে। এতেই সমস্যা মনে করছে ১০টি দেশ, ফলে তারা সাময়িক ভাবে ইউটিউব বন্ধ করে দিয়েছে।
ব্রাজিল, তুরস্ক, জার্মানি, লিবিয়া, থাইল্যান্ড, তুর্কমেনিস্তান, চীন, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও পাকিস্তান ইউটিউব নিজ নিজ দেশের জনগণদের জন্য বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইউটিউব বন্ধের পেছনে মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে দ্রুত এসব দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে যাওয়াকে। এ ছাড়াও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশিত হয়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন মানুষের স্কেন্ডাল ছড়ানোও ইউটিউব বন্ধের পেছনে একটি কারণ।
ইউটিউবে সাধারণত যে কেউ ভিডিও প্রকাশ করতে পারে। ফলে একটি দেশের যেকোনো বিষয় নিয়ে ভিডিও প্রকাশ এবং এর প্রেক্ষিতে তা দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়া এবং একে কেন্দ্রকরে আন্দোলন সংগ্রামের কারণে দেশে নৈরাজ্য তৈরি হতে পারে। নিজ নিজ দেশে ঠিক এমনটাই ঘটছে বলেই মনে করছে ব্রাজিল, তুরস্ক, জার্মানি, লিবিয়া, থাইল্যান্ড, তুর্কমেনিস্তান, চীন, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও পাকিস্তান এর প্রশাসন।
ইউটিউব বন্ধ হওয়া দেশ সমূহের রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এসব দেশ মোটেই স্থিতিশীল নয়। একই সাথে এসব দেশের সরকার বিভিন্ন ভাবে নানান ইস্যুতে আন্দোলনের সম্মুখীন। ফলে তারা চাইছেন সরকার বিরোধী এসব আন্দোলন দমন করতে। এক্ষেত্রে আন্দোলনকারীরা ইউটিউবে সরকার বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে নানান ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। যা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান অসন্তোষ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তবে ১০দেশে ইউটিউব বন্ধের পেছনে সরকার বিরোধী আন্দোলন ছাড়াও আরও কিছু কারণ দেখানো হয়েছে। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য আরেকটি কারণ হচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ইউটিউব আসক্তি। তাদের ভাষ্যমতে দেশের অপ্রাপ্ত বয়স্করা ইউটিউবে বিভিন্ন পর্ণ ভিডিও দেখতে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
উল্লেখ্য বর্তমানে ইউটিউবে ৬ বিলিয়ন ঘন্টার বেশি সময় ভিডিও আপলোড রয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ১ বিলিয়নের উপর স্বতন্ত্র ব্যবহারকারী ইউটিউবে ভিডিও দেখেন এবং প্রকাশ করেন। বর্তমান বিশ্বে ইউটিউব অনেকের জন্য বিশেষ দরকারি একটি মাধ্যম হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ভিডিওঃ
সূত্রঃ Mashable, kotaku.com