দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মমির কথা তো আমরা সবাই কম বেশি জানি, তবে ইতিহাসের মমি তৈরিতে নানান ব্যবস্থাপনা এবং পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলেও এবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের একটি বাড়ি থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে মমি হওয়া এক নারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
১৯৫৩ সালে জন্ম নেয়া মারিয়া ক্রিস্টিনা ফন্টানা আজ থেকে ১০ বছর আগেই নিজের এপার্টমেন্টে মারা যান, তবে তার কোন স্বজন না থাকায় বিষয়টি কেউই জানতে পারেননি। এমনকি ফন্টানার বেঁচে থাকা বা মারা যাওয়ার বিষয়ে আশেপাশে থাকা কোনও প্রতিবেশী খোঁজ খবর নেননি। মারা যাওয়ার ১০ বছর পর প্রতিবেশী মার্সেলা ক্যালভেট দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ফন্টেনাকে মৃত দেখতে পান। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ১০ বছর আগে মারা গেলেও ফন্টেনা এখনো ঠিক সেরকম আছেন, তার শরীরের কোন পচন ধরেনি! তাঁকে বিশ্লেষকরা প্রাকৃতিক মমি বলেই আখ্যা দিচ্ছেন।
আর্জেন্টিনার আইন অনুযায়ী সেদেশে কোন সম্পত্তি যদি এক টানা ১০ বছর অব্যবহৃত থাকে তবে তা প্রতিবেশীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ফলে প্রতিবেশী মার্সেলা ক্যালভেট বাড়ি দখল নিতে গেলে সেখানেই ফন্টেনাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ফন্টেনা যেখানে ছিলেন সেভাবেই তিনি এক টানা ১০ বছর মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। এসময় আশেপাশে থাকা বিভিন্ন প্রতিবেশীরা কেউ তার খবর নেননি এবং কেউই টের পাননি আসলে ফন্টেনার ভাগ্যে কি হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন আজ থেকে দশ বছর আগেই ফন্টেনার মৃত্যু হয়েছে, মৃত্যুকালে তিনি অ্যানিউরিজম নামে একটি রোগে ভুগছিলেন এবং তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। তবে মারা যাওয়ার পরেও ফন্টেনা কেনো পচলেন না কিংবা তার শরীর বিকৃত হলোনা তা নিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, ফন্টেনা যে ঘরে মরে পড়ে ছিলেন সেখানে আবহাওয়া অনেক শুষ্ক ছিলো একই সাথে সেখানে যথেষ্ট বাতাস চলাচল করেছে। এসব কারণ ছারাও প্রাকৃতিক পরিবেশ ফন্টেনার শরীরকে মমি বানিয়ে দিতে সাহায্য করেছে।
ফন্টেনাকে খুঁজে পাওয়া মার্সেলা ক্যালভেট বলেন, “আমরা কখনোই তাঁকে মৃত বা ঘরে মারা গেছেন এমনটা ভাবিনি। তবে তিনি ঘরে মৃত ছিলেন কিন্তু আমরা কোন দুর্গন্ধও পাইনি।” ফন্টেনাকে এভাবে মমি হিসেবে পেয়ে স্থানীয় সকল বাসিন্দা বিস্মিত এবং হতবাক।
সূত্রঃ Newsinfo