দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে একটি বিশেষ ‘তরঙ্গ সংকেত’ পেয়েছে নিখোঁজ মালয়েশিয়ান বিমানের তল্লাশি অভিযানে থাকা উদ্ধারকারী জাহাজ। ধারণা করা হচ্ছে এই সংকেত নিখোঁজ বিমানের ব্ল্যাক বক্সের।
শনিবার নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধানে থাকা জাহাজ প্রায় ২৫ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ ও ১০১ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশ সংকেতটি পেয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া। নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে জাহাজটি বর্তমানে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের তল্লাশি চালাচ্ছে।
ইতোমধ্যে চীনের পক্ষ থেকে ১০টি সামরিক বিমান, তিনটি বেসামরিক বিমান ও ১১টি জাহাজ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভারত মহাসাগরের দুই লাখ ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে। এই অনুসন্ধানে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার যৌথ সহায়তা রয়েছে।
অনুসন্ধান দলের অস্ট্রেলিয়ান সদস্য অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী প্রধান অ্যানগাস হিউজটন মিডিয়াকে জানিয়েছেন, “এবারের নতুন করে শুরুকরা এই অভিযান এক টানা ৬ সপ্তাহ ধরে চলবে। তবে এর মাঝেও যদি আমরা নিখোঁজ বিমানের কোনও সন্ধান না পাই তবে অনুসন্ধানের সময় সীমা আরও বাড়ানো হবে।”
এদিকে উদ্ধারকারী জাহাজে থাকা ব্ল্যাক বক্স ডিটেক্টরে পাওয়া সংকেতের বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “জাহাজের নাবিকরা তাৎক্ষণিক একটি সংকেত শুনতে পান, যার সাথে নিখোঁজ বিমানের ব্ল্যাক বক্স এর বিল্ড ইন সংকেতের মিল রয়েছে। সংকেতে পাওয়া ফ্রিকোয়েন্সি ছিল ৩৭ দশমিক পাঁচ কিলোহার্জ যা ফ্লাইট রেকর্ড থেকে পাওয়া ফ্রিকোয়েন্সির মতোই।”
উল্লেখ্য, নিখোঁজ বিমান ফ্লাইট৩৭০ নিয়ে গবেষকরা বলছেন বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাগরের বুকে ধ্বংস হয়নি। একে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই নির্ধারিত যাত্রা পথ থেকে আরও প্রায় কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। এর সাথে মালয়েশিয়া এবং চীনের রাডারের সংযোগও কেও ইচ্ছে করেই বন্ধ করে দিয়েছিল। ইতোমধ্যে বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার প্রায় এক মাস পার হয়ে গেছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ সমূহের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের পরেও বিমানটির কোনও চিহ্ন এখনো কেও খুঁজে পায়নি।