দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চাঁদের বায়ুমণ্ডলে থাকা ধূলিকণা নিয়ে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিলো তাকে। সেটা তো সম্ভব হলোই না, বরং চাঁদের মাটিতে আছড়ে ধূলিস্মাৎ হয়েই জীবন সাঙ্গ হতে যাচ্ছে তার। চলতি সপ্তাহেই নাসা জানিয়েছে, LADEE নামের তাদের চন্দ্রযানটি এই মাসের মধ্যেই চাঁদের বুকে আছড়ে পড়তে যাচ্ছে।
চাঁদের বায়ুমণ্ডল ও ধূলিকণা নিয়ে গবেষণা করার জন্য ২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর LADEE কে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। অভিযানের সম্ভআব্য ব্যাপ্তিকাল ছিলো ১০০ দিনের মতো। উৎক্ষেপণের এক মাসের মাথাতেই LADEE চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে এবং চাঁদকে ঘিরে তার ঘূর্ণণ শুরু হয়। এরপরই বিজ্ঞানীদের তথ্য পাঠানোর শুরু করে LADEE। প্রতি সেকেন্ডে ৬০০ মেগাবাইট গতিতে তথ্য পাঠিয়ে মহাশূণ্য থেকে সবচেয়ে বেশি তথ্য পাঠানোর রেকর্ড ঝুলিতে পোরে এই মহাকাশ যান। বিজ্ঞানীদের অনেকেই LADEE-র এই সাফল্যে মুগ্ধ হয়ে এমনও ভবিষ্যৎবাণী করেন যে, অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে বসে মহাশূণ্যের ত্রিমাত্রিক ভিডিও দেখতে পাবেন।
২৮০ মিলিয়ন ডলারের এই প্রজেক্টের পরিণতি সম্পর্কে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাসার বিজ্ঞানীরা জানান, ‘ জ্বালানী সঙ্কটের কারণে এপ্রিলের ২১ তারিখ অথবা এর আগে কোনো এক সময়ে চাঁদ আছড়ে পড়বে LADEE। প্রজেক্টটির বিজ্ঞানী রিক এলফিক বলেন, ‘প্রতি সেকেন্ডে ১৬০০ মিটার গতিতে আছড়ে পড়াকে নিশ্চয় স্বাভাবিক ল্যান্ডিং বলা যায় না। তাই বোঝাই যাচ্ছে LADEE ধ্বংস হয়ে যাবে।’ তবে অত্যুৎসাহীদের হতাশ করে নাসা জানিয়েছে, ‘পৃথিবী থেকে এই ঘটনা দেখা যাবে না। এমনকি চাঁদ দেখতেও যেমন আছে, তেমনই থাকবে।’ অন্যদিকে কখন LADEE আছড়ে পড়তে পারে তা নিতে একটি অনুমান-নির্ভর প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছে নাসা।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল