দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফরমালিনের জন্য এমন এক পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে, মাছ খাওয়া চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। এখন নতুন করে আরও একটি বিষয় যোগ হয়েছে তা হলো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার। ফরমালিনের জন্য জীবিত (তাজা) মাছ কিনে খাওয়া যাবে কিন্তু রাসায়নিকযুক্ত মাছের জন্য জীবিত বা মৃত মাছের মধ্যে কোন পার্থর্ক নেই। যে কারণে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।
ফরমালিন নিয়ে যখন তুমুল হৈ চৈ ঠিক তখন ফরমালিনের পাশাপাশি আবার মাছ চাষে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলোও উঠে এসেছে। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা শুধু ফরমালিন নিয়েই হৈ চৈ করছি। কিন্তু এর আড়ালে বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ যে ক্ষতি করছে, তার বিরুদ্ধে তেমন কিছু হচ্ছে না।”
রাসায়নিক পদার্থ মানবদেহের কি কি ক্ষতি করতে পারে- সে বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এ সালাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এসব এন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত মাছ খাওয়ার কারণে মানুষের কিডনি, যকৃৎ এমনকি হৃদপিণ্ডের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি এটির কারণে মানুষের ক্যান্সারেরও ঝুঁকি হতে পারে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট- এ দেশের বিভিন্ন পুকুরে মাছের খাবারে ব্যবহৃত এসব রাসায়নিক নিয়ে গবেষণা করা হয়। গবেষণায় তারা দেখেছেনে, মৎস্য খামারগুলোতে ১০টি ভিন্ন শ্রেণীর এবং ৫০টি ভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
মৎস্য খামারে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, দ্রুত বর্ধক ওষুধ, কীটনাশকসহ বিভিন্ন সামগ্রী।
আবার মৎস্য উৎপাদনে যেমন ক্ষতিকারক সামগ্রী ব্যহার করা হচ্ছে পক্ষান্তরে বাজারে আসার পর আবার ব্যবহার করা হয় ফরমালিন। যা মানব দেহের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন অবস্থায় ভোক্তা অধিকার আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে এসব ক্ষতিকর জিনিস যাতে ব্যবহার থেকে বিরত রাখা যায় সেদিকে আইন প্রযোগকারী সংস্থাকে আরও কঠোর হতে হবে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন।