দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় কণ্ঠাশিল্পী বশির আহম্মেদ আর নেই। তিনি গতরাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন ইন্না….রাজিউন। তিনি দীর্ঘদিন দূরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
কিংবদন্তি সংগিত শিল্পী বশির আহম্মেদের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। আজ যোহরের নামাজের পর নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বশির আহম্মেদ ১৯৩৯ সালের ১৯ নভেম্বর কলকাতার খিদিরপুরে এক সওদাগর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। চলচ্চিত্রে তাঁর প্রচুর গান এখনও শ্রোতাদের হৃদয়ে রয়েছে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ওস্তাদ বেলায়েত হোসেন’র কাছে তিনি সংগীত চর্চা শুরু করেন। এরপর তিনি বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) চলে যান। সেখানে উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খাঁর কাছে তালিম নেন। ১৯৬৪ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় আসার আগেই উর্দু চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন বশির আহমেদ।
বশির আহম্মেদ শুধু সঙ্গীত শিল্পীই ছিলেন না তিনিি একজন কবি ও গীতিকারও। বশির আহমেদ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আহমেদ রুশিদি নামে পরিচিত ছিলেন।
বশির আহমেদ ২০০৩ সালে ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ ছবিতে গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
‘অনেক সাধের ময়না আমার’, ‘সজনী গো ভালোবেসে এত জ্বালা কেন বল না’, ‘আমাকে পোড়াতে যদি এতো লাগে ভালো’- তাঁর অসংখ্য জনপ্রিয় গানগুলো এখন শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
এই গুণি শিল্পী মৃত্যুকালে স্ত্রী মীনা বশির ও দুই সন্তান হুমায়রা বশির ও রাজা বশিরকে রেখে গেছেন।
আমরা কিংবদন্তি কল্ঠশিল্পী বশির আহম্মেদের মৃত্যুতে দি ঢাকা টাইমস্ এর পক্ষ থেকে পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা ও তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।