দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যখন কেও কারো প্রতি রোমান্টিকভাবে আকর্ষিত হয় কিংবা কেও কারো প্রতি দয়ালু মনোভাব প্রকাশ করে তখন শরীর থেকে একধরনের হরমোন নির্গত হয়। এর নাম অক্সিটোসিন। নতুন একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র মানুষের শরীর নয় পোষা প্রাণীর শরীর থেকেও এটি নির্গত হয়ে থাকে।
এইকথা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত যে কুকুররা বেশ প্রভুভক্ত হয়ে থাকে। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে এই বিস্ময়কর কারণটির একটি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এবং ব্যাখ্যা জানা যাবে। অক্সিটোসিন মূলত একটি খুশীর হরমোন। অর্থাৎ কেও যদি কারো প্রতি সন্তুষ্ট কিংবা কৃতজ্ঞ থাকে তবে শরীর থেকে এই হরমোনটি নির্গত হয়। পোষা প্রাণী বিশেষ করে কুকুর, ছাগল এবং বিড়ালের শরীর থেকেও এই ধরনের হরমোন নির্গত হয় যখন সে তার প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা কিছু গৃহপালিত পোষা প্রাণী যেমন কুকুর এবং ছাগলের রক্ত পরীক্ষা করে এই তথ্য সনাক্ত করেছেন। তারা কুকুর এবং ছাগলটিকে নিয়মিত একসাথে রাখতেন এবং তাদের একসাথে খেলতে দেখতেন।
গবেষকরা তাদের একসাথে করার পূর্বে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন তারপর তাদের আবার একসাথে থাকার ব্যবস্থা করেন। তারা পূর্বের মতই খেলত এবং মজা করতো। তারপর আবার তাদের রক্তের নমুনা গ্রহণ করেন। রক্তের এই নমুনা গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের শরীরের এই হরমোনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। পল জাক হলেন এই গবেষণার প্রধান তিনি বলেন, ‘ফলাফলটি ছিল বেশ চমৎকারপ্রদ, কুকুরের ক্ষেত্রে হরমোনের এই মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল প্রায় ৪৮ শতাংশ যা মানুষের কাছাকাছি অপরদিকে ছাগলের ক্ষেত্রে বিষয়টি ছিল বেশ আকর্ষণীয়। তারাও মানুষের প্রতি অনুরক্ত থাকে। এই হরমোন নির্গত হওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায় মানুষের ক্ষেত্রে যখন কেও প্রেমে পতিত হয় কিংবা কারো প্রতি দয়ালু মনোভাব প্রকাশ করে’।
প্রায় ১০০ মানুষ তাদের রক্ত প্রদান করে যখন তারা তাদের পোষা প্রাণীর প্রতি অনুরক্ত থাকে। অর্থাৎ তাদের পোষা প্রাণীর প্রতি মায়া সৃষ্টি হয় এমন সময় তাদের শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হয়। তাদের শরীরের রক্ত পরীক্ষা করে এই হরমোনটি পাওয়া যায়। ফলে বোঝা যায় কেন মানুষ তাদের পোষা প্রাণীদের প্রতি অনুরক্ত থাকে এবং পোষা প্রাণীরাও তাদের প্রভুর প্রতি ভালোবাসা অনুভব করে।
তথ্যসূত্রঃ টেকজার্নাল