দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রশ্নটি হলো কোন ডিমে পুষ্টি বেশি বাদামী রঙের ডিমে নাকি সাদা রঙের ডিমে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন অন্য ধরনের কথা। তারা বলেন, উভয় প্রকার ডিমই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ‘অ্যালেজান্দ্রা ক্যাস্প্রো’ যিনি অনেক বছর যাবৎ ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, ‘দুই প্রকার ডিমই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। দুটি ডিমেই রয়েছে সমান পুষ্টিগুণ। ডিমে থাকে ৭০ গ্রাম ক্যালরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিটামিন-বি। তবে এটা ঠিক যে, পাস্তা, ময়দা এবং ব্রেডের সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ক্ষেত্রে বাদামী ডিমটি সাদা ডিম থেকে তুলনামূলক বেশি ভালো। এইক্ষেত্রে বাদামী ডিম সাদা ডিমের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।’
সাদা পাখনার মুরগিরা সাদা ডিম দিয়ে থাকে আর বাদামী পাখনার মুরগিরা বাদামী ডিম দিয়ে থাকে। এইক্ষেত্রে পুষ্টির তারতম্যর কোন কারণ নেই। কিন্তু তার পরেও এই কথাটি কেন প্রচলিত হয়েছে কেননা বাজারমূল্যে বাদামী ডিম সাদা ডিমের চেয়ে কম দামি ফলে এটি খুব দ্রুত মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচলিত হয়েছে যে বাদামী ডিম সাদ ডিমের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বাদামী ডিমের উৎপাদন খরচ সাদা ডিমের চেয়ে বেশি কেননা বাদামী পাখনার এই মুরগিগুলো সাদা পাখনার মুরগির চেয়ে বেশি খাদ্য খেয়ে থাকে। ফলে তাদের এই খাবারের পেছনে কৃষককে বেশি ব্যয় করতে হয়।
তবে হ্যাঁ, ব্যতিক্রমী কিছু গুণাগুণের পার্থক্য হতেই পারে। এটা অনেকটা নির্ভর করে কৃষক তাদের কি খাবার দিচ্ছে। দেশী মুরগি আর ফার্মের মুরগির মধ্যে তফাত রয়েছে বলেই অনেকে মনে করে থাকেন। এক্ষেত্রে দেশী সকল মুরগিই প্রায় সাদা ডিম দিয়ে থাকে, আর ফার্মের মুরগি সাধারণত বাদামী ডিম দিয়ে থাকে। ফার্মের মুরগির জন্ম এবং বেড়ে উঠা দুটিই হয় কৃত্রিমভাবে দ্রুত গতিতে এবং মরেও দ্রুত গতিতে ফলে তাদের ডিমের পুষ্টি উপাদান হবে একই রকম। হ্যাঁ খাচায় পালিত মুরগিগুলো খাদ্য হিসেবে পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এর ফলে মুরগির ডিমের মূল পুষ্টি উপাদানের কোন পার্থক্য হবে না। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের ফার্মের মুরগির শরীরে পাওয়া গেছে ক্রোমিয়াম এবং উচ্চ এন্টিবায়োটিক! ফলে এসব মুরগি মানুষের শরীরের জন্য ভয়াবহ বিষ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই মুরগির ডিম কেনার সময় ডিমের রঙ দেখে কেনার প্রয়োজন নেই কেননা উভয় ডিমেই সমান পুষ্টিকর। তবে ফার্মের মুরগির খাবারে কেমিক্যাল ব্যবহার হওয়াতে দেশী মুরগির সাদা ডিম প্রাধান্য দেয়াই উত্তম।
তথ্যসূত্রঃ ফক্সনিউজ